HomeSports NewsCricketঅব্যাহত কোহলি ঝড়! রুতুরাজের পিচ শাসনে চালকের আসনে ভারত

অব্যাহত কোহলি ঝড়! রুতুরাজের পিচ শাসনে চালকের আসনে ভারত

- Advertisement -

রায়পুর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল ভারতীয় শিবিরের (India vs South Africa 2nd ODI)। রায়পুরে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তারই যেন প্রতিফলন দেখা গেল। টানা ২০ বার টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ভারত। রোহিত এবং জয়সয়াল শুরুটা ভালো করলেও খুব তাড়াতাড়ি ওপেনিং জুটির পতন হয়। রোহিত মাত্র ১৪ রান করে নন্দ্রে বার্গারের বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

অন্যদিকে জয়সওয়ালও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শুরুতেই ভারতের স্কোরবোর্ড কিছুটা চাপে। কিন্তু ঠিক সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করে। ওয়ান ডে ক্রিকেট মানেই বিরাট কোহলির স্টেজ। আজও ব্যতিক্রম হলো না। নামার পর থেকেই দেড়শোর স্ট্রাইক রেটে শুরু করেছিলেন কোহলি। পরে ইনিংসকে স্থির করে ৯৩ বলে তুলে ফেললেন দুর্দান্ত ১০২ রান। ৭টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ইনিংসে একের পর এক দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারকে চাপে রাখলেন তিনি।

   

ভারতীয় সেনার জন্য উন্নত অস্ত্র… ইজরায়েলি কোম্পানির সহযোগিতায় হচ্ছে কাজ

আর অন্য প্রান্তে যেন শান্ত নদীর মতো বইতে থাকলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। স্ট্রোকপ্লের সূক্ষ্মতা, ফুটওয়ার্কের লাবণ্য আর টাইমিং—সব মিলিয়ে এক শিল্পীসুলভ ইনিংস খেললেন তিনি। তার ৮৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি দৃষ্টিনন্দন চার ও ২টি ছয়। মাঠে উপস্থিত দর্শকরা যেন বুঝেই উঠতে পারেননি—স্ট্রাইক রোটেশন নাকি আগ্রাসন, কোনটা বেশি উপভোগ্য।

তাদের দু’জনের ১৫০ রানের জুটিতে ভারত ধীরে ধীরে পৌঁছে যায় পাহাড়সম স্কোরের পথে। কোহলি–রুতুরাজ আউট হওয়ার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বস্তির সুযোগ মেলেনি। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। তিনি শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ বোলারদের শাস্তি দিতে থাকেন। মাত্র ৪৩ বলে অপরাজিত ৬৬ রানে রাহুলের ব্যাটিং ছিল আগ্রাসনের নিখুঁত উদাহরণ।

৬টি চার ও ২টি ছয় মেরে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের দিশেহারা করে দেন। ওয়াশিংটন সুন্দর রান আউট হয়ে দ্রুত ফেরেন (১), তবে জাদেজা ২৪* রানে সাপোর্ট দেন অধিনায়ককে। রায়পুরের পিচ প্রথমে কিছুটা সাহায্য করলেও পরের দিকটা পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে চলে যায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দাপটে বোলারদের মুখরক্ষা করা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। মার্কো ইয়ানসেন, লুঙ্গি নগিদি, নন্দ্রে বার্গার—কেউই ছন্দের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular