আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ২০২৫ (Ranji Trophy 2025) ম্যাচে বাংলা দল একবারের জন্য পূর্ণ পয়েন্টের স্বপ্ন দেখলেও, শেষ পর্যন্ত কষ্টকর এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে ব্যর্থ হওয়া এবং একগুচ্ছ ক্যাচ হারানোর কারণে বাংলা যে ম্যাচটি জিততে পারত, সেটাও ড্র হয়ে শেষ হল।
বাংলার ইনিংস শুরু হয় ধৈর্যশীলভাবে। সুদীপ ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর সাকির গান্ধী ৯৫ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। তবে বাংলার পেস আক্রমণ তখনই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে যখন মহম্মদ শামি এবং তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফ বোলিং করতে নামেন। কাইফ শুরু থেকে জ্বালানি বোলিং করে ত্রিপুরাকে ৫৩/৫ পর্যন্ত সীমিত করেন। কিছুক্ষণ পর আরও একটি উইকেট নেওয়ার পর ত্রিপুরার স্কোর দাঁড়ায় ৯৩/৬। এই মুহূর্তে বাংলার অনুরাগীরা আশাবাদী হন, দলের জন্য অতিরিক্ত বোনাস পয়েন্ট নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।
কিন্তু হনুমা বিহারী এবং বিজয় শঙ্করের ধৈর্যশীল পার্টনারশিপ সেই আশা ভেঙে দেয়। তৃতীয় দিনের শেষে হনুমা ১২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিনে তিনি আউট হন, ত্রিপুরা তখন মাত্র ১৬ রানে পিছিয়ে। বাংলার পক্ষে মাত্র ২ উইকেট নেওয়া বাকি থাকলেও সেটাও সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিং একাই লড়াই চালিয়ে গিয়ে ১০২ রানে অপরাজিত থাকলেও বাংলা দল চূড়ান্তভাবে লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ১০ নম্বরে নামা রানা দত্তও ২৭ রান যোগ করলেও ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।
দুই পেসারের মধ্যে শামি কোনো উইকেট নিতে না পারলেও কাইফ ৪ উইকেট নেন। এছাড়া ঈশান পোড়েল (৩), রাহুল প্রসাদ (২) এবং শাহবাজ আহমেদ মিলে বাকি শিকার সম্পন্ন করেন। বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই দিন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে বাংলার অধিনায়ক অভিষেক পোড়েলের একগুচ্ছ ক্যাচ মিসও দলকে হতাশায় ফেলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা দল ৪৯ রানে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ব্যাট করতে নামলেও ম্যাচের ভাগ্য তখন প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৯০ রান করে ম্যাচ ড্র হয়। বাংলা দলের সমর্থকরা কৃতিত্ব দিচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম এবং কাইফের বোলিং কৌশলের জন্য, তবে শামির উইকেটহীন বোলিং ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ হারানো বড় ধাক্কা হয়ে ফিরে এসেছে।
এবার বাংলা দলের নজর আগামী ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট সংগ্রহের দিকে। দল জানে, ধৈর্য এবং সংযমের সঙ্গে খেলে এই হতাশাজনক ড্র থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ভালো ফলাফল আশা করা যায়।


