রনজি ট্রফির (Ranji Trophy 2025) তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেও বৃষ্টির কারণে সুবিধাজনক অবস্থান হারাল বাংলা। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে খেলা ব্যাহত হলেও, সুদীপ ঘরামির সেঞ্চুরি ও শাকির হাবিব গান্ধীর ৯৫ রানের ইনিংসেও স্বস্তিতে নেই অভিষেক পোড়েলের দল। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার রান ৯ উইকেটে ৩৩৬, হাতে মাত্র একটি উইকেট বাকি।
প্রথম দিন খারাপ আলোর কারণে আগেভাগেই খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন ১৭১/১ স্কোর নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলা। শাকির ও সুদীপের জুটি তখন রানের চাকা ঘুরিয়ে দিচ্ছিল দ্রুত। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৫ রানে থেমে যান শাকির। মাত্র পাঁচ রান দূরে থেকে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। তবে অন্য প্রান্তে থেকে ধৈর্য ধরে খেলতে থাকেন সুদীপ।
২৫০ বল খেলে ১৫টি চারসহ ১০৮ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস উপহার দেন তিনি। কিন্তু তাঁর আউটের পরেই হঠাৎ ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং অর্ডার। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার (৬), অধিনায়ক অভিষেক পোড়েল (১১) ও সুমন্ত গুপ্ত (৫) ফিরলে চাপ তৈরি হয় দলের ওপর। একসময়ে স্কোরবোর্ডে ২৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলা।
এই অবস্থায় দলকে কিছুটা টেনে তোলেন শাহবাজ আহমেদ ও রাহুল প্রসাদ। সপ্তম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন তাঁরা। রাহুল ৩৫ রানে ফিরলেও শাহবাজ লড়াই চালিয়ে যান একাই। কিন্তু শেষ দিকে তাঁকে কার্যকর সহযোগিতা দিতে পারেননি কেউ। কাইফ শূন্য, শামি মাত্র ৫ রানে ফেরেন সাজঘরে।
বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা আগেভাগেই বন্ধ হয়ে গেলে বাংলার ইনিংস ৯ উইকেটে ৩৩৬ রানে থামে। ত্রিপুরার হয়ে রানা দত্ত নিয়েছেন ৩ উইকেট, বিক্রমকুমার দাস ও মণিশঙ্কর মুরাসিংহ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। বাকি দুই উইকেট ভাগ করে নেন অভিজিৎ সরকার ও স্বপ্নিল সিং।
শুরুর দাপটের পর এমন বিপর্যয়ে চিন্তার মেঘ বাংলার ড্রেসিংরুমে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, তৃতীয় দিনে দ্রুত শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করাই এখন ত্রিপুরার মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে, শাহবাজের ব্যাটে আরও কিছু রান যোগ হবে কি না—সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলা শিবির।
