ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket) অন্যতম শ্রেষ্ঠ অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (International Cricket) থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তাঁর অবসরের পর কংগ্রেস সাংসদ (Congress MP) বিজয় বসন্ত (Vijay Vasanth) তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী (Central Sports Minister) মনসুখ মান্দাভিয়াকে (Mansukh Mandaviya) অনুরোধ করেছেন যে অশ্বিনকে “মেজর ধ্যাণ চাঁদ খিলরত্ন পুরস্কার” (Major Dhyan Chand Khel Ratna Award) দিয়ে সম্মানিত করা হোক। এই পুরস্কারটি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সর্বোচ্চ সম্মান, এবং অশ্বিনের অসামান্য অবদান ও ক্রীড়া জগতের প্রতি তাঁর অবদানের কারণে তিনি এটি পাওয়ার উপযুক্ত, এমনটাই মনে করছেন বিজয় বসন্ত।
I have written to the Hon’ble @mansukhmandviya, Minister of Youth Affairs and Sports, requesting that R. Ashwin be conferred with the Major Dhyan Chand Khel Ratna Award. His exceptional contributions to Indian cricket and remarkable achievements on the field make him truly… pic.twitter.com/ES61C3LTLW
— Vijay Vasanth (@iamvijayvasanth) December 20, 2024
অশ্বিনের অবসর ক্রিকেট বিশ্বের জন্য একটি বড় সংকেত, কারণ তিনি যে সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর রাজত্ব স্থাপন করেছিলেন, সে সময়টা ছিল অবিস্মরণীয়। বুধবার ব্রিসবেন টেস্টের পর তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
অশ্বিনের ক্যারিয়ার এবং অবদান
চেন্নাই ম্যাচে মুম্বাই কোচ ক্রাটকির এই পরিকল্পনা
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করেন এবং তারপর থেকে তিনি অনেক রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ১০৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৫৩৭টি উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে ৩৭টি পাঁচ উইকেট হোল্ড রয়েছে। এর পাশাপাশি, ৩,৫০৩ রানও করেছেন। অশ্বিনের এই অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স তাঁকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধু তাই নয়, তিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন। অশ্বিনের আরো একটি রেকর্ড হলো টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট হাল (৩৭টি), যা শ্রীলঙ্কার মুত্থাইয়া মুরালিধরনের পরেই রয়েছে (৬৭টি)।
অশ্বিনের অবদান শুধুমাত্র উইকেট শিকারেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের গৌরবময় সময় ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ভারতকে শীর্ষে পৌঁছাতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর স্পিন বোলিংয়ের দক্ষতা এবং ম্যাচে খেলার ধারাবাহিকতা ভারতকে অনেক বড় জয়ে পৌঁছাতে সহায়ক হয়েছিল।
সীমিত ওভার ক্রিকেটে অশ্বিনের অবদান
বাগানের বিরুদ্ধে এই লক্ষ্য গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজের
অশ্বিনের সীমিত ওভার ক্রিকেটের অবদানও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ১৮১টি একদিনের ম্যাচ এবং ৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ১১৬টি ম্যাচ খেলে ১৫৬টি উইকেট শিকার করেছেন এবং ৭০৭ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা ৭২, এবং তিনি ১৮৪ রানও করেছেন। তাঁর বোলিং কৌশল এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী তার দখল করা উইকেটগুলির সংখ্যা প্রশংসনীয়। তিনি ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দলের অংশ ছিলেন, যা তাঁর ক্রীড়া ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
অশ্বিনের অবসর এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা
নিজের চোট প্রসঙ্গে কী বললেন মাদিহ তালাল? জানুন
অশ্বিনের অবসর ভারতীয় ক্রিকেটের একটি বড় দিক পরিবর্তনের চিহ্ন। তিনি এক যুগের বেশি সময় ধরে ভারতের ক্রিকেট দলের প্রধান অংশ ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হলেও, রেখে যাওয়া সংস্কৃতি এবং ক্রিকেটের প্রতি নিবেদন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বিশাল প্রেরণা। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, টেকনিক্যাল দক্ষতা এবং স্পিন বোলিংয়ে অসীম অবদান তাকে এক অমূল্য রত্নে পরিণত করেছে।
কংগ্রেস সাংসদ বিজয় বসন্তের কথায়, অশ্বিনের এই অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি “মেজর ধ্যাণ চাঁদ খিলরত্ন পুরস্কার” পাওয়ার উপযুক্ত। অশ্বিনের সাফল্য ও অর্জন তাকে ভারতীয় ক্রিকেটের এক অনন্য স্থান দিয়েছে, এবং তিনি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অশ্বিনের অবসর একটি যুগের সমাপ্তি হলেও, তার প্রতিভা ও অবদান দেশবাসীর মনে চিরকাল জীবন্ত থাকবে বলে আশাবাদী তাঁর ভক্তরা।