বৃহস্পতিবার নিজেদের ঘরের মাঠে পরাজিত হয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ( East Bengal)। অনবদ্য ফুটবল খেলেও তাঁদের আটকে যেতে হয়েছে সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসির কাছে। এদিন সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে খালি হাতে ফিরতে হলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সহজেই মন জয় করেছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। বলাবাহুল্য গত ম্যাচেই খেলতে গিয়ে চোটের কবলে পড়তে হয়েছিল স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপোকে। এছাড়াও দেখা দিয়েছিল কার্ডের সমস্যা। যারফলে এই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি তিনি।
Also Read | বৃথা লড়াই! ওডিশার বিপক্ষে ফের পরাজিত ইস্টবেঙ্গল
পাশাপাশি চোটের কবলে পড়তে হয়েছিল গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসকে। সেজন্য এদিন ক্লেটন সিলভাকে সামনে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজন। প্রথম থেকেই দল যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে খেললেও মাদিহ তালালের চোট কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেয় মশাল ব্রিগেডকে। তবুও সুযোগ বুঝে আক্রমণে উঠতে ভোলেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। যারফলে বেশ কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ চলে এসেছিল ময়দানের এই প্রধানের কাছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।
Also Read | লিরেনের ভুলে ইতিহাস গড়ল ১৮ বছর বয়সেই, ভারত পেল নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গার করা গোলে দল এগিয়ে গেলেও সেই অগ্ৰগমন বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই গোল শোধ করে যান জেরি মাউহিমিংথাঙ্গা। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার সুযোগ পায় দুই দল। কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে সক্ষম হয়নি ইস্টবেঙ্গল। তাছাড়া জিকসন সিং মাঠ ছাড়তেই কিছুটা চাপে চলে আসে সৌভিক চক্রবর্তীরা। তবে খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে দশজনে ফুটবল খেলছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত প্রতিআক্রমণে উঠে ব্যবধান বাড়িয়ে যান হুগো বুমোস।
Also Read | ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মমতার
সেই ব্যবধানেই জয় ছিনিয়ে নেয় জগন্নাথের রাজ্যের ফুটবল ক্লাব। যা নিয়ে প্রচন্ড সকলে। পাশাপাশি ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারকে (Debabrata Sarkar)। যেখানে জিকসন সিংয়ের লাল কার্ড ইস্যুর পাশাপাশি উঠে আসে রেফারির একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কথা। ম্যাচ দেখে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র লাল কার্ড নয়। ম্যাচের বহু ক্ষেত্রেই আমাদের হলুদ কার্ড হয়েছে কিন্তু ওদের হয়নি। আবার বহু পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে আমাদের ফাউল হয়েছে ওদের হয়নি।”
শীর্ষকর্তা আরও বলেন, ” আমরা মনে হয় একটা ভুল করেছি রেফারি রিক্রুট করতে পারিনি। হয়তো বাকিরা করতে পেরেছে। এইখানে আমাদের ব্যর্থতা আছে। ইঞ্জুরি খেলার একটা অংশ। এটা থাকবেই। কিন্তু এমন রেফারিং চললে দল যত ভালোই খেলুক ভালো কিছু আশা করা যাবে না।”