বিদায় জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি নিয়ে এখনও আবেগপ্রবণ ক্লেটন

লাল-হলুদ সমর্থকদের অন্যতম প্রিয় ফুটবলার ক্লেটন সিলভা।  ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সময় বেঙ্গালুরু এফসি থেকে তাঁকে দলে টেনেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার দল খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স…

East Bengal Brazilian Footballer cleiton silva wil be joined Odisha FC

লাল-হলুদ সমর্থকদের অন্যতম প্রিয় ফুটবলার ক্লেটন সিলভা।  ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সময় বেঙ্গালুরু এফসি থেকে তাঁকে দলে টেনেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার দল খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারলে ও একক দক্ষতায় যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। পরবর্তীতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের দায়িত্ব। সেই স্প্যানিশ কোচের সাথে মানিয়ে নিতে খুব একটা সময় লাগেনি এই ফরোয়ার্ডের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ধারাবাহিক ব্যর্থতা থাকলেও ব্রাজিলের এই অভিজ্ঞ ফুটবলারের হাত ধরেই কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গল।

প্রায় বারো বছর পর সর্বভারতীয় স্তরে এসেছিল সাফল্য। যা নিঃসন্দেহে সমর্থকদের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখবে এই ফুটবলারকে। কিন্তু গত সিজন নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারেননি এই তারকা ফুটবলার। বহু ম্যাচে তার ওপর ভরসা রাখলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি ক্লেটন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিয়েছিল দলের অন্দরে। অবশেষে গত সিজনের শেষ পর্বে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ময়দানের এই প্রধান। বর্তমানে দলের সক্রিয় সদস্য না হলেও কলকাতা ডার্বির আবেগ এখনও উৎসাহ দেয় পেলের দেশের এই ফুটবলারকে।

   

সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। এই হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচের আগে দলের এই প্রাক্তন অধিনায়কের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল বাংলার এক জনপ্রিয় মাধ্যম। সেখানে তিনি বলেন, ” সমর্থকরা আনন্দ পাক, এর থেকে বেশি আমি কিছু চাই না। মন থেকে ইস্টবেঙ্গলের ই জয় চাইব আজ। তবে ডার্বিটা খুব মিস করব। যুবভারতীতে ৪০-৫০ হাজার মানুষের সামনে খেলা। সুপার কাপের ডার্বি ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলা আমার সেরা ম্যাচ। সলের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত কথা হয়। আমার মনে হয়, এবার ভাল লড়াই হবে। ইস্টবেঙ্গলে এবার অনেক ভাল ফুটবলার। তবে, ওদেরও কিন্তু অনেক ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ফুটবলার রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।”

Advertisements

তাঁর এমন মন্তব্য মন জয় করেছে সকল সমর্থকদের। উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগেই স্প্যানিশ ফুটবলার সাউল ক্রেসপোর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লাল-হলুদ জার্সিতে দাপিয়ে খেলেছিলেন ক্লেটন। সুপার কাপ জয় করার পাশাপাশি সেবার বড় ব্যবধানে মোহনবাগানকে পরাজিত করেছিল মশাল ব্রিগেড। তবে এবার বদলেছে সব পরিস্থিতি। বর্তমানে আগের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী মোহনবাগান। তাঁদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা যে সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন তাই তারকা।