শনিবার বিকেলে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ডের গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour FC)। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে কলকাতা ময়দানের অন্যতম শক্তিশালী প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ডায়মন্ড হারবার এফসির মতো প্রথম দুইটি ম্যাচে তাঁদের ও দাপট থেকেছে ব্যাপকভাবে। আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট বড় ব্যবধানে তাঁরা জয় তুলে নিয়েছিল বিএসএস দলের কাছে। যারফলে বলতে গেলে আত্মবিশ্বাস নিয়েই পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নামবেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। তাঁদের আটকানো যে যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে সেটা ভালো মতোই বুঝতে পারছেন সকলে।
তাছাড়াও ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছেন মোহনবাগানের অধিকাংশ বিদেশি ফুটবলার। যারফলে বলতে গেলে প্রায় সম্পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামবে সবুজ-মেরুন। কিন্তু সেইসব নিয়ে এখন খুব একটা ভাবছেন না ডায়মন্ড হারবার এফসির নয়া বিদেশি ফুটবলার ক্লেটন দা সিলভেইরা দা সিলভা (Clayton da Silveira)। এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” মোহনবাগান যথেষ্ট ভালো দল। তাঁদের দলে একাধিক ভালো ফুটবলার রয়েছে। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশিরা ও যথেষ্ট সক্রিয়। যেটা আমার জন্য যথেষ্ট ভালো। আমাদের গ্ৰুপের লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। তাঁদের মতো আমাদের ও জয় পয়েন্ট রয়েছে। আমাদের সকলেই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। সেইসাথে গ্ৰুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে চাইবে।”
সেইসাথে প্রতিপক্ষ দলের প্রসঙ্গে আরও জানান, “এরকম বড় ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা আমার আগে ও হয়েছে। পূর্বে আমি ব্রাজিলের পাশাপাশি ইউক্রেন এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশের ক্লাবে ও খেলেছি। সেখানকার দলের সমর্থকদের উন্মাদনা এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা দেখেছি। যেটা আমি বলে বোঝাতে পারব না। তাই বড় ম্যাচ নিয়ে আমি যথেষ্ট উৎসাহি।” তবে প্রতিপক্ষ দলের দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে খেলতে নামার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” বিরাট দর্শকদের সামনে খেলতে আলাদাই উৎসাহ থাকে। হতে পারে তাঁরা গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে থাকবে কিন্তু সেটা আমার জন্য অনেকটাই ইতিবাচক। এই সপ্তাহে আমাদের দলের সকলেই যথেষ্ট অনুশীলন করেছে। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চাইব।”
এছাড়াও দলের কোচ তথা কিবু ভিকুনার প্রশংসা করে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেন, ” তিনি যথেষ্ট ভালো কোচ। এছাড়াও তিনি স্প্যানিশ ভাষায় খুব সুন্দরভাবে বোঝান। মাঠ ও মাঠের বাইরে কোচ যথেষ্ট সহায়তা করে। আমাদের দলের সকলেই তাঁকে যথেষ্ট সম্মান করে। এছাড়াও আমাদের দলের স্টাফেরা ও যথেষ্ট সহায়তা করে থাকেন। আমরা ভালো পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়েই দলকে পরের রাউন্ডে নিয়ে যেতে চাই।”