Chinnaswamy Tragedy: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)-র আইপিএল ২০২৫-এর প্রথম শিরোপা জয়ের উৎসবের সময় এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি ও বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে। এই ঘটনার পর কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (KSCA) সেক্রেটারি এ শঙ্কর এবং ট্রেজারার ই জয়রাম শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার একটি যৌথ বিবৃতিতে শঙ্কর এবং জয়রাম এই দুর্ঘটনার জন্য নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করেছেন। যদিও তারা জানিয়েছেন যে এই ইভেন্টে তাদের ভূমিকা সীমিত ছিল। ৪ জুন স্টেডিয়ামের বাইরে অপ্রত্যাশিতভাবে বিশাল জনতার সমাগম ঘটে, যা আরসিবি-র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমে প্রথম-আগমনের ভিত্তিতে বিনামূল্যে প্রবেশের আমন্ত্রণের কারণে আরও উসকে ওঠে। পরে এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
৪ জুন বিধান সৌধায় আয়োজিত আরসিবি-র সম্মাননা অনুষ্ঠানটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে জনতার ঢল নামে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যার ফলে এই মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কেএসসিএ জানিয়েছে যে গেট এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তাদের ছিল না। তাদের ভূমিকা শুধুমাত্র ভেন্যু সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে, এই দুর্ঘটনার পর থেকে কেএসসিএ তীব্র তদন্তের মুখে পড়েছে।
কাব্বন পার্ক থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যেখানে আরসিবি, কেএসসিএ-র প্রেসিডেন্ট রঘুরাম ভাট এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে ভিড় এবং গেট ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্ট পুলিশকে কেএসসিএ-র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত রেখেছে। তবে তাদের চলমান তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১৬ জুন।
শঙ্কর এবং জয়রামের পদত্যাগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক এবং জনসাধারণের তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এবং রাজনৈতিক সহযোগীকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড বা বদলি করা হয়েছে। কর্ণাটক সরকার এই ইভেন্টের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিরোধী দলগুলি শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি দাবি করছে।
এই দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে, এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ এবং শোকের মধ্যে কেএসসিএ-র উপর চাপ বাড়ছে। এই ঘটনা ভবিষ্যতে বড় আকারের ইভেন্টে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।