স্কটিশ ফুটবলারকে বিদায় জানাল চেন্নাইয়িন, আগ্ৰহী দুই প্রধান

গত কয়েক মরসুম ধরে খুব একটা ছন্দে নেই চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। দাপুটে পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। হতাশাজনক…

Chennaiyin FC star Connor Shields

গত কয়েক মরসুম ধরে খুব একটা ছন্দে নেই চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। দাপুটে পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। হতাশাজনক পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে অনায়াসেই ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। আগের সিজনটা ও খুব একটা ভালো ছিল না তাঁদের জন্য। তাঁদের দলের আইএসএল জয়ী কোচ ওয়েন কোয়েলের হাত ধরে পুনরায় সাফল্যের সরণিতে ফেরার পরিকল্পনা থাকলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি দক্ষিণের এই ফুটবল দলের পক্ষে। লিগ টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ হয়েছিল আইএসএল টুর্নামেন্ট। তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি দলের সমর্থকরা।

সেই হতাশা ভুলে পরবর্তী সময় কলিঙ্গ সুপার কাপে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল বড় ব্যবধানের পরিপ্রেক্ষিতে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সমর্থকদের। এই সমস্ত কিছু ভুলে অনেক আগে থেকেই নতুন মরসুমের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণের এই আইএসএল জয়ীরা। তবে নয়া ফুটবলার সই করানোর পাশাপাশি বেশকিছু বদল যে দেখা যেতে চলেছে দলের অন্দরে সেটা জানা ছিল সকলের।

   

এক্ষেত্রে আক্রমণভাগের পাশাপাশি মাঝমাঠের বেশকিছু ফুটবলারদের বদল করার পরিকল্পনা ছিল ম্যানেজমেন্টের। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমের তরফে ব্যাপকভাবে উঠে আসছিল একাধিক দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের নাম। যাদের মধ্যে ছিলেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড উইলমার জর্ডান গিল থেকে শুরু করে রায়ান এডওয়ার্ডস ও এডুইন সিডনি ভান্সপলের মতো ফুটবলাররা। গত কয়েকদিনে তাঁদের রিলিজ করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এছাড়াও ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল স্কটিশ মিডফিল্ডার কনর শিল্ডের নাম। ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে এবার হয়তো চেন্নাইয়িন ছাড়বেন এই ফুটবলার।

Advertisements

সেটাই হল শেষ পর্যন্ত। শুক্রবার বিকেলে নিজেদের সোশ্যাল সাইটে কনর শিল্ডকে রিলিজ করার কথা জানিয়ে দিল অভিষেক বচ্চনের এই ফুটবল ক্লাব। শেষ সিজনে দলের হয়ে প্রায় ২১টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই ফুটবলার। যার মধ্যে ১টি গোলের পাশাপাশি ৮টি অ্যাসিস্ট ছিল এই ফুটবলারের। কিন্তু নয়া সিজনে আর তাঁকে দলে রাখতে আগ্ৰহী ছিল না ম্যানেজমেন্ট। সেটাই হল এবার। শোনা যাচ্ছে এই বিদেশি ফুটবলারকে নিতে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। একটা সময় তাঁকে নিয়ে ময়দানে দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পাশাপাশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। তবে যতদূর খবর, তাঁকে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে মশাল ব্রিগেড।