কাজে এল না মাজসেনের গোল, পাঞ্জাবকে টেক্কা দিল চেন্নাইয়িন

জয়ের ধারা বজায় রাখল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে ইন্দোরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেন্নাইয়িন এফসি। যেখানে…

Chennaiyin FC Maintains Winning Streak, Defeats Punjab FC

জয়ের ধারা বজায় রাখল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে ইন্দোরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেন্নাইয়িন এফসি। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় ওয়েন কোয়েলের ছেলেরা। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জর্ডান উইলমার গিল এবং ড্যানিয়েল চিমা চুকু। অপরদিকে পাঞ্জাব এফসির হয়ে একটি মাত্র গোল করেন লুকা মাজসেন। ঘরের মাঠে এই জয় আসায় যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা।

বলাবাহুল্য, আগের ম্যাচে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধানের বিরুদ্ধে জয় আসায় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল দলের ফুটবলারদের। যার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল এই ম্যাচে। প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসি দলকে। তারপর দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় ওয়েন কোয়েলের ছেলেরা। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জর্ডান উইলমার গিল। তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল তুলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাঞ্জাব শিবির। তবে প্রীতম কোটাল থেকে শুরু করে এলসিনহোদের জমাটবাঁধা ডিফেন্সে বারংবার আটকে যেতে হয় ফুলগা ভিদালদের।

প্রথমার্ধের শেষে একটি গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল তুলে নিতে তৎপর হয়ে ওঠে পাঞ্জাব দল। তারপর চতুর্থ কোয়ার্টারে শুরুর দিকেই চেন্নাইয়িন রক্ষণে হানা দেন আজমির সুলজিকরা। তাছাড়া লুকা মাজসেন মাঠে আসার পর থেকেই যেন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। তাঁর পা থেকেই চলে আসে সমতাসূচক গোলটি। সময় যত এগিয়েছে ততই জমজমাট হয়ে ওঠে এই ম্যাচ। বলাবাহুল্য, মাজসেন মাঠে আসার পর থেকেই গোলের বেশ কিছু সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছিল পাঞ্জাব এফসি।

Advertisements

কিন্তু সেগুলি কাজে লাগাতে পারেননি নেহাল সুদেশরা। নাহলে অনায়াসেই ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিতে পারত ডিলমপেরিসের ছেলেরা। তারপর সুযোগ বুঝেই ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে গোল করে যান চিমা চুকু। তারপর ও যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিল রিকি সাবং’রা। কিন্তু ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে।