দুই ম্যাচ পর ফের ছন্দে ফিরল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। সোমবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির মুখোমুখি হয়েছিল কোনর শিল্ডরা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৫-১ গোলের ব্যবধানে তাঁদের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিল দক্ষিণের এই ফুটবল দল। এদিন ম্যাচের প্রথম দিকেই প্রতীক চৌধুরীর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ওয়েন কোয়েলের ছেলেরা। তারপর যত সময় এগিয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছে চেন্নাইয়িন এফসি। গোল পান যথাক্রমে ইরফান ইয়াদওয়াদ, কোনর শিল্ড, উইলমার জর্ডন গিল এবং লুকাস বামব্রিলা।
Also Read | বাগান অনুশীলনে অনুপস্থিত এই ভারতীয় ডিফেন্ডার, পুরোটা জানুন
অন্যদিকে ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান জাভি হার্নান্দেজ। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। যারফলে অনায়াসেই জয় নিশ্চিত করে নেয় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এই জয়ের সুবাদে ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসলো আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাব। তাঁরা পিছনে ফেলে দিল মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়াকে। স্বাভাবিকভাবেই এই জয় নিয়ে খুশি চেন্নাইয়িন হেডস্যার।
Also Read | East Bengal FC : ছুটি শেষে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে কোন চমক থাকল দেখুন
সোমবার ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে হলেও প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের দাপটে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল জামশেদপুর ডিফেন্ডারদের। বিশেষ করে ৬ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার প্রতীক চৌধুরীর আত্মঘাতী গোল যেন বাড়তি অক্সিজেন যুক্ত করেছিল এলসিনহোদের। তবুও সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা যায় রাই তাচিকাওয়াদের। কিন্তু লালদিনপুইয়াদের জমাট বাঁধানো রক্ষণে আটকে যেতে হয় বারংবার।
Also Read | লাল-হলুদ প্রসঙ্গে এবার কী বললেন দেবাশিস দত্ত?
তারপর মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ সংগঠিত করে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে যান ইরফান ও শিল্ডরা। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে অনায়াসেই ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকে চেন্নাইয়িন এফসি। দ্বিতীয়ার্ধে ও তাঁর অন্যথা হয়নি। ৫৪ মিনিটের মাথায় উইলমার জর্ডন গিলের গোল আসতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আইএসএল জয়ীদের। তারপর ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই দলের হয়ে পঞ্চম গোল তুলে নেন বামব্রিলা।
শেষে চেন্নাইয়িন ডিফেন্সে ঢুকে পেনাল্টি আদায় করে খালিদ জামিলের জামশেদপুর। সেখান থেকে জাভির একমাত্র গোল। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের সম্পূর্ণ দখল নিয়ে ফেলেছে চিমা চুকুরা।