অনবদ্য পালমার! এক যুগ পর সাফল্যের গতিপথ বদল

দাপুটে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে ফের সাফল্যের আলোয় আলোকিত চেলসি (Chelsea FC)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার রাত ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল…

Chelsea FC 3-0 Victory Over PSG in FIFA Club World Cup 2025

দাপুটে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে ফের সাফল্যের আলোয় আলোকিত চেলসি (Chelsea FC)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার রাত ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মান। ওরফে পিএসজি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় রবার্ত সাঞ্চেজরা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ দেখা গিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। এদিন ফাইনালে চেলসির জার্সিতে জোড়া গোল করেন কোল পালমার। এবং একটি গোল করেন জোয়াও পেদ্রো।

উল্লেখ্য, এই জয়ের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হল এক নতুন ইতিহাস। হিসাব অনুযায়ী দেখলে প্রায় গত ১২ বছর ধরেই ইউসিএল বা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের অধিকাংশ সময় দাপট থেকেছে ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপে। সেই অনুযায়ী দেখলে কিছুদিন আগেই ইন্টার মিলানকে পরাজিত করে এই খেতাব জয় করেছিল ডেম্বেলেদের পিএসজি। যার ফলে অনেকেই মনে করেছিল যে এইবার হয়তো সকলকে টেক্কা দিয়ে চূড়ান্ত সাফল্য পাবে ফরাসি ক্লাবটি। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। গত ২০২১-২০২২ সালের পর পুনরায় ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলো চেলসি। তবে এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো নতুন ফরম্যাটের ট্রফিতে আসলো সাফল্য।

   

এক কথায় যা বিরাট বড় পাওনা। উল্লেখ্য, এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট প্রভাবশালী ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের ক্লাবটি। ম্যাচের প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কোল পালমার। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল ফুটবলারদের। তারপর মিনিট সাতেকের ব্যবধান মাত্র। ফের গোল। প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের জোড়ালো শট চালান পালমার। অনায়াসেই চলে আসে দ্বিতীয় গোল। মাঝে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল পিএসজির কাছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তারপর প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে এই পালমারের পাস থেকেই গোল করে যান পেদ্রো।

Advertisements

যারফলে তিনটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের তরফে বেশ কয়েকবার আক্রমণ সংগটিত হলেও চেলসির গোলরক্ষকের দক্ষতার জোরে কোনও বিপদ ঘটানো সম্ভব হয়নি। তারপর ম্যাচের শেষ লগ্নে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল পিএসজির তারকা ফুটবলার জোয়াও নাভাসকে। শেষ পর্যন্ত ১০ জনই ফুটবল খেলে ফ্রান্সের এই ক্লাবের হয়ে‌। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিয়েছে এনজো মারেস্কার ছেলেরা।