মোহনবাগান-ডেম্পোর অফার থাকলেও ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার কথা ভাবিনি: কেভিন লোবো

২০১২, ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছিল কেভিন লোবো (Cavin Lobo) নামের এক উদীয়মান ফুটবলারকে। বাকিটা ইতিহাস। লাল হলুদ জার্সি পরে খেললেন একশোর বেশি ম্যাচ। নিজে গোল করলেন,…

Cavin Lobo

২০১২, ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছিল কেভিন লোবো (Cavin Lobo) নামের এক উদীয়মান ফুটবলারকে। বাকিটা ইতিহাস। লাল হলুদ জার্সি পরে খেললেন একশোর বেশি ম্যাচ। নিজে গোল করলেন, অন্যকে দিয়ে করালেন। গোয়ার জাদুকর, বল তাঁর পায়ে পড়লে কথা বলতো। ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার কথা ভাবতেও পারতেন না এক সময়। চোট সমস্যায় না পড়লে নিঃসন্দেহে আরও কয়েক বছর চুটিয়ে খেলতে পারতেন।

   

২০১২-১৮ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন কেভিন লোবো। তারপর আরও অনেক ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু এখন তিনি কোথায়, কী করছেন কেভিন লোবো?

কেভিন লোবো এখন বিদেশে। সস্ত্রীক রয়েছেন ইউকে-তে। গোয়ায় একটি ফুটবল একাডেমি রয়েছে। দেশে আসেন মাঝেমধ্যে। কলকাতা, ইস্টবেঙ্গল, যুবভারতীর কথা এখনও মনে পড়ে তাঁর? ফোনের ওপার থেকে কেভিন জানালেন, “কলকাতাকে খুব মিস করি। জীবনের সেরা কিছু সময় ওখানে কাটিয়েছে। কলকাতার সমর্থকদের ফুটবলের প্রতি ওই প্যাশন কখনও ভোলার নয়।”

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একশোর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। মোহনবাগান কিংবা অন্য কোনো বড় ক্লাবের অফার পাননি কখনও? উত্তরে কেভিন বলেছেন, “মোহনবাগান আমাকে অফার করেছিল। ওদিকে ডেম্পো, বেঙ্গালুরু থেকে অফার ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ছাড়িনি। ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার কথা কখনও ভাবেনি। ক্লাব, ক্লাবের কর্মকর্তা, সমর্থকদের সঙ্গে আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অন্য ক্লাবে যাওয়ার কথা তখন ভাবতেও পারতাম না।”

এটিকে, কেরালা ব্লাস্টার্স, চার্চিল ব্রাদার্স, পাঞ্জাব, ভাস্কোর হয়ে খেলেছিলেন। লোবো এখনও ভারতীয় ফুটবল ফলো করেন। মাঠের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্কে ছিন্ন করেননি। বিদেশে খেলেন শখের ফুটবল। ফোন রাখার আগে বললেন, “ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরে প্রথমবার মাঠে নামার স্মৃতি কখনও ভুলবো না।”