ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দলের (Phillippines National Football Team) প্রধান কোচ আলবার্ট কাপেলাস (Albert Capellas) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ঠিক এমন এক সময়ে দল এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাইপর্বের (AFC Asian Cup 2027 Qualifier) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সহকারী কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। যিনি অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দলের। কাপেলাসের বিদায়ের খবরে কিছুটা ধাক্কা খেলেও, কুয়াদ্রাতের অভিজ্ঞতা এবং প্রোফাইল দেখে আশা করা যায় যে দল তার নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে।
স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসিকে ২০১৮-১৯ মরসুমে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে ২০২৪ সালের কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছেন। তার কোচিং দক্ষতা ও কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য তিনি ইতোমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল মহলে সুপরিচিত।
স্প্যানিশ কোচ দীর্ঘদিন স্পেন ও এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়দের তুলে আনার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ফিলিপাইনের কোচিং স্টাফে তিনি কাপেলাসের অধীনে সহকারী কোচ হিসেবে যুক্ত হন এবং দলের সাম্প্রতিক উন্নতির পেছনে তাঁর অবদানও কম নয়। এখন তিনি অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সেই পথচলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
ফিলিপাইন ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাপেলাস একটি সুসংগঠিত ‘ব্লুপ্রিন্ট’ রেখে গেছেন, যা কুয়াদ্রাত অনুসরণ করবেন। তার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান দলের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া, বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে, দলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুয়াদ্রাতের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ১০ জুন তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মার্চ মাসে মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দল ভালো সূচনা করেছে এবং এখন গ্রুপ ‘এ’তে টিকে থাকার জন্য এই ম্যাচ জিততেই হবে।
তাঁর নেতৃত্বে ফিলিপাইন দলের লক্ষ্য হবে শুধু বাছাইপর্বে সফলতা অর্জন নয়, বরং এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তি স্থাপন করা। ২০১৯ সালের মতো আবারও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া এখন পুরো দলের প্রধান লক্ষ্য।
ফিলিপাইনের ফুটবলপ্রেমীরা আশাবাদী যে কুয়াদ্রাতের অভিজ্ঞতা, কৌশল এবং প্যাশন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। তাঁর কোচিংয়ে যদি দল ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে, তবে ফিলিপাইন দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা মঞ্চে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারবে।