আগামী মাসের শেষের দিকেই শুরু হতে চলেছে সিএফএল (Calcutta Football League)। সেইমতো গত বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের গ্ৰুপ বিন্যাস। প্রত্যেক মরসুমের শুরুতে যেদিকে নজর থাকে সকলের। তবে এবার এই টুর্নামেন্টের ফুটবল কোচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উঠে আসলো নয়া তথ্য। শোনা যাচ্ছে, এই নয়া সিজন থেকেই নাকি সিএফএলের প্রত্যেকটি ডিভিশনের ক্ষেত্রে মূলত লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচদের হাতে তুলে দিতে হবে দলের দায়িত্ব। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক সিজন ধরেই কোচিং লাইসেন্স পেয়েছেন বহু ফুটবল কোচ। কিন্তু কোচিং করানোর সুযোগ এসেছিল মাত্র হাতে গোনা কিছু জনের কাছে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করেছিল লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচের পাশাপাশি নয়া আবেদনকারীদের কাছে। সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই এবার নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে আইএফএ। এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চলেছেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। যারফলে এই ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে কোচিং করার সুযোগ পেতে পারেন বাঙালি ফুটবল কোচদের একটি বিরাট অংশ। এক্ষেত্রে কোন ডিভিশনের জন্য কোন গ্ৰেডের কোচ কোচিং করাতে পারবেন সেই সংক্রান্ত তথ্যাদি ও নাকি প্রকাশ করেছে বাংলার এই ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। সেই অনুযায়ী পঞ্চম ডিভিশন থেকে তৃতীয় ডিভিশন লিগে কোচিং করানোর ক্ষেত্রে ‘ডি’ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোচেদের জন্য।
একইভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশন লিগে কোচিং করানোর ক্ষেত্রে ‘সি’ গ্ৰেডের লাইসেন্স থাকতে হবে সকল ফুটবল কোচদের। এবং সর্বপরি প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের কোনো দলে কোচিং করানোর ক্ষেত্রে অন্তত ‘বি’ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবার থেকে। তবে শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত ফুটবল কোচ নয়। তার পাশাপাশি প্রতিটি ফুটবল ক্লাবে অন্তত একজন করে ফিজিও রাখার ব্যাপারে ও জোর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আসন্ন কলকাতা ফুটবল লিগে যে বেশকিছু বদল দেখা চলেছে সেটা বলাই চলে। যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাংলার ফুটবলের ক্ষেত্রে।