সূচি অনুসারে শনিবার বিকেলে কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) দুই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের সাক্ষী ছিল সকলে। একদিকে কল্যাণী স্টেডিয়ামে গ্রুপ বি এর ম্যাচে রেনবো এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার। অন্যদিকে, নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্চল স্টেডিয়ামে মামণি পাঠচক্রের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। উল্লেখ্য, শেষ কয়েক ম্যাচে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স ছিল না সবুজ-মেরুনের। ড্র করার পাশাপাশি নিউ আলিপুর সুরুচির কাছে পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছিল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেদের।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অন্যতম লক্ষ্য ছিল মেরিনার্সদের। অন্যদিকে, সুপার সিক্সে নিজেদের নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল ডায়মন্ড হারবারের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। নিজেদের গ্রুপের অন্যান্য দলগুলো তুলনা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল ডায়মন্ড হারবার শিবির। এদিন সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-২ গোলের অমীমাংসিত ফলাফল নিয়েই কল্যাণী স্টেডিয়াম ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার এফসি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ফলাফল থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়িয়ে গোল তুলে নিতে তৎপর ছিল উভয় দল। গোলের মুখ খুললে ও জয় সুনিশ্চিত করতে পারেনি কোনও ফুটবল ক্লাব।
এদিন ডায়মন্ড হারবার এফসির হয়ে গোল পান যথাক্রমে আকাশ হেমব্রম এবং পল রামফাংজৌবা। অন্যদিকে, রেনবোর হয়ে গোল করে যান বিষ্ণু এবং সৌভিক। এই ম্যাচের পর ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্ৰুপ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকল ডায়মন্ড হারবার। অপরদিকে, হারের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে জয়ের মুখ দেখেছে মোহনবাগান দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৫-২ গোলের ব্যবধানে পাঠচক্রকে টেক্কা দিয়েছে ময়দানের এই প্রধান। এদিন সবুজ-মেরুন জার্সিতে তিনটি গোল করে যান কারণ রাই। এছাড়াও গোল পান যথাক্রমে পাসাং দর্জি তামাং এবং পীযূষ ঠাকুর।
অন্যদিকে, পাঠচক্রের হয়ে গোল করে যান ডেভিড এবং সৌম্যজিত তরফদার। হিসাব অনুযায়ী দেখলে এটি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হলেও এখনও পর্যন্ত বাকি রয়ে গিয়েছে মেসার্স ম্যাচের সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য সেদিন সঠিক সময় মেসার্স দল উপস্থিত থাকলেও ডুরান্ড কাপের কথা উল্লেখ করে ম্যাচ না খেলতে আসার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। হিসাব অনুযায়ী ওয়াক ওভার পাওয়ার কথা থাকলেও এখনও আসেনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।