কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) নতুন মরসুমের দামামা বেজে গিয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার রোয়িং ক্লাবে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের গ্ৰুপ বিন্যাস। যেখানে সকলের সামনে মূলত লটারি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয় দল গুলির গ্ৰুপ বিভাগ। সেই অনুযায়ী এবার কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকল পড়শী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অর্থাৎ এবার গ্রুপ পর্বেই থাকছে হাইভোল্টেজ ডার্বি। এছাড়াও মোহন-ইস্টের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকল মেসার্স ক্লাব, কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্স, সুরুচি সংঘ, রেলওয়ে এফসি, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব, জর্জ টেলিগ্ৰাফ, ক্যালকাটা কাস্টমস, কালিঘাট এমএস, পাঠচক্র আর্মি রেড, এবং পুলিশ এফসির মত ফুটবল ক্লাব।
অন্যদিকে, পরবর্তী বিভাগ অর্থাৎ গ্ৰুপ ‘বি’তে কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে থাকল ডায়মন্ড হারবার এফসি থেকে শুরু করে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, কলকাতা পুলিশ, উয়াড়ি অ্যাথলেটিক, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, ভবানীপুর ক্লাব, আসুস রেনবো এফসি, এরিয়ান ক্লাব, খিদিরপুর এফসি, ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব, সার্দান সমিতি এবং পিয়ারলেস এফসির মতো দল। বলাবাহুল্য, এই নয়া ফুটবল মরসুমে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ খেলতে আসছে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব। তাঁদের পারফরম্যান্সের দিকে নজর থাকবে সকলের। পাশাপাশি নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা থাকবে অন্যান্য দল গুলির।
এছাড়াও টুর্নামেন্টের লাইভ টেলিকাস্ট সংক্রান্ত ঘোষণা ও উঠে আসে এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে। সেই অনুযায়ী এবার এসএসইএনে দেখা যাবে সমস্ত ম্যাচ গুলি। তবে টেলিভিশনে এবার সম্প্রচারিত হবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়, মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে সেই বিষয়টি। ঠিক এমনটাই ইঙ্গিত মেলে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তের তরফে। পরবর্তীতে কলকাতা লিগের গ্ৰুপ বিন্যাস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” লটারি প্রত্যেক বছরই হয়। আইএফএ অফিসের ভিতরে হত। তবে সেখানে সবাই উপস্থিত থাকত না। সবাই দেখার সুযোগ পেত না। সেটা এবার হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কে কোন গ্ৰুপে পড়েছে। কোন কোন দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে সেটা জানার আগ্ৰহ থাকে। এই লাইভ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সবাইকে নিয়ে আনন্দের পরিবেশের মধ্যে দিয়ে লটারি হল।”
আরও বলেন, ” শুরুতে ডার্বি নেই। সাধারণত দুটো ম্যাচের পরে হয়। সিকোয়েন্সে রয়েছে। ডার্বি সব সময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি ভারতীয় ফুটবলে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হল ডার্বি ম্যাচ। আশা করি বাংলার মানুষকে আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দিতে পারব।”