১২ মে, ২০২৫, জয়পুরের সয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে একটি বোমা হুমকির (Bomb Threats) ইমেল পাওয়া যায়। রাজস্থান স্পোর্টস কাউন্সিলের অফিসিয়াল ইমেল ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ সুপার ললিত শর্মা জানিয়েছেন, হুমকির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল এবং কুকুর স্কোয়াড তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। একই দিনে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামেও একটি বোমা হুমকির ইমেল পাওয়া যায়, যা গত তিন দিনে এই স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় হুমকি। টুকোগঞ্জ থানার ইনচার্জ জিতেন্দ্র সিং যাদব জানান, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একটি ইমেল পেয়েছিল, যাতে স্টেডিয়ামটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তবে, তদন্তে কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। এর আগে, ৯ মে একটি অনুরূপ মিথ্যা ইমেল হুমকি এসেছিল।
এই ঘটনা জয়পুরের সয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের জন্য নতুন নয়। গত সপ্তাহে একই ধরনের একটি বোমা হুমকির ইমেল পাওয়া গিয়েছিল। রাজস্থান স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নীরজ এ. পাওয়ান জানান, হুমকিটি ইমেলের মাধ্যমে এসেছিল এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়। তিনি বলেন, “ইমেলটি স্পোর্টস কাউন্সিলের অফিসিয়াল ইমেলে পাঠানো হয়েছিল। আমরা দ্রুত স্টেডিয়াম খালি করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও তল্লাশি দলের সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছি।” পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী পুরো স্টেডিয়াম তল্লাশি করে কোনো বিপজ্জনক বস্তু খুঁজে পায়নি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামেও আইপিএল ২০২৫-এর কেকেআর বনাম সিএসকে ম্যাচ চলাকালীন একটি বোমা হুমকির ইমেল পাওয়া গিয়েছিল। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (CAB) অজানা প্রেরকের কাছ থেকে এই হুমকি পায়, যা ক্রীড়া জগতে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এই ঘটনাগুলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে একটি জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এই ঘটনা সম্ভবত ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে বোমা হুমকির পেছনে একটি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে।
এই বারবার হুমকি ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা এখন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে, কর্তৃপক্ষ দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। স্টেডিয়ামগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই হুমকির উৎস খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে। ক্রীড়া সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কোনো ত্রুটি রাখবে না।