রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার মাঝে অনুষ্ঠিত হলো নার্সারি ডিভিশনের (Nursery Division Football) গ্রুপ ‘বি’ ফাইনাল। রবিবার বিজয়গড় জেফা মাঠে বিষ্ণুপুর ফুটবল কোচিং সেন্টার এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব স্কুল অব এক্সসিলেন্সের মধ্যে জমজমাট লড়াইয়ে ফুটবলপ্রেমীরা পেলেন উপভোগ্য এক সন্ধ্যা। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হলো টাইব্রেকারে, যেখানে বিষ্ণুপুর ফুটবল কোচিং সেন্টার ৪-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে এবং গ্রুপ বি’র সেরা খেতাব ছিনিয়ে নেয়।
পুরো ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররাই দারুণ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেন। অনূর্ধ্ব-১২ বিভাগের এই খেলায় ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় অনেক ফুটবলার নজর কাড়েন। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেও, খেলার গতি ও উত্তেজনা এক মুহূর্তের জন্যও কমেনি। দুই দলই একাধিক আক্রমণ শানালেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে বিষ্ণুপুরের ফুটবলাররা চমৎকার নির্ভরতা ও কৌশলের পরিচয় দেন। তারা চারটি সফল শট নেন, অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের দুটি শট ব্যর্থ হয়। বিশেষভাবে প্রশংসিত হন বিষ্ণুপুরের গোলরক্ষক, যিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
যদিও ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, তবে তাদের গোলরক্ষক ইমন ঘোষের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি গোটা ম্যাচে অসাধারণ কিছু সেভ করে দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন। টাইব্রেকারেও তার উপস্থিতি দলকে আশাবাদী করে তোলে।
খেলার শেষে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন দুই বিশিষ্ট ফুটবলার অশোক চন্দ ও তুষার রক্ষিত। তাঁরা দুই দলকেই অভিনন্দন জানান এবং বলেন, “এই বয়সে ছেলেদের এমন খেলা দেখা সত্যিই আশাজাগানিয়া। ভবিষ্যতে বাংলা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
এই জয়ের মাধ্যমে বিষ্ণুপুর ফুটবল কোচিং সেন্টার শুধু ট্রফি জয় করল না, নিজেদের ফুটবল চর্চার মানও প্রমাণ করল। ছোট ছেলেদের মধ্যে ফুটবলকে ঘিরে এমন প্রতিযোগিতা এবং প্যাশন বাংলা ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই টুর্নামেন্ট থেকেই উঠে আসবে আগামী দিনের তারকারা, যারা একদিন হয়তো দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে।