খেলোয়াড়দের জীবন বৈচিত্র্যে মোড়া। আজ যিনি নায়ক, কালকেই হয়তো তাকে থাকতে হবে পর্দার আড়ালে। কলকাতা ফুটবল মাঠের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলার বিজয় গুরুং (Bijay Gurung)। কিন্তু লাগাতার চোট সমস্যা ভুগিয়েছে তাকে। প্রায় একটা বছর তিনি কাটিয়েছেন সাইড লাইনের ধারে।
কিন্তু হাল ছাড়েননি। মাঠকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। অভিজ্ঞরা অনেক সময় বলে থাকেন, নিজের ভালোবাসা জড়িয়ে ধরে রাখো খড়কুটোর মতো। সে-ই তোমাকে পৌঁছে দেবে ঠিক। বিজয়ের ক্ষেত্রে কথাটা মিলে গিয়েছে। তার ভালোবাসা ফুটবল। শত সমস্যার মধ্যেও তিনি তার ভালোবাসার ফুটবলকে ছাড়েননি। এবারের কলকাতা ফুটবল লীগে পেলেন প্রতিদান। দলকে জেতালেন জোড়া গোল করে। ম্যাচের সেরা ফুটবলারের সম্মান পেয়েছেন বর্ধমানের এই ছেলেটা।
যে ম্যাচে জোড়া গোল করে নিজের ফিরে আসার ডঙ্কা বাজালেন বিজয়, সেই ম্যাচটিও মনে রাখার মতো। ময়দানে বলা হচ্ছে দুই ভাইয়ের লড়াই কিংবা গৃহযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস এবং পাঠচক্র। এই ক্লাব দুটি আদপে একই মায়ের দুটি সন্তানের মতো। দুটি দলই এবারের কলকাতা ফুটবল লীগে। তাই নিয়ম অনুযায়ী মুখোমুখি হতে হয়েছে। খাতায় কলমে পাঠচক্রের থেকে ইউনাইটেড স্পোর্টস অনেক বেশি শক্তিশালী। ম্যাচের ফলাফলেও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এই গৃহযুদ্ধের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন একজন নায়ক। তিনি বিজয় গুরুং।
ময়দানের নবাব ভট্টাচার্য সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল থেকে বিজয় সম্পর্কে লিখেছেন, “বিজয় গুরুং, বর্ধমানের ছেলে, শেষ এক বছর ধরে শুধু চোট আর চোট মুক্তির আরাধনা। ওর ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে সততার এখনো দাম আছে, পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। আমি খুব খুশি বিজয়ের প্রত্যাবর্তনের এই পোস্ট টা শেয়ার করতে পেরে।”