Nepal : “শিলিগুড়ি…!” নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে একী বললেন ভাইচুং

গত কয়েক দিন ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর পরিস্থিতি আরও…

Bhaichung Bhutia says It is very unfortunate on Nepal Crisis

গত কয়েক দিন ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশজুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে নেপালের (Nepal Crisis) সেনাবাহিনী। পরদিন, বুধবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় রাজধানী কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে।

রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য। টহল দিচ্ছিল সশস্ত্র সেনা, চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও রাজনৈতিক দফতরের ধ্বংসাবশেষ। সেনাবাহিনীর তরফে মাইক ব্যবহার করে বারবার বলা হচ্ছে , “অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।”

   

Bhaichung Bhutia: খালিদের নেতৃত্বে আশার আলো! ভাইচুংয়ের মুখে ভারতীয় ফুটবলের দিশা

এবার সেদেশের রাজনৈতিক (Nepal Crisis) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক (Former Indian Footballer Captain) ভাইচুং ভূটিয়া (Bhaichung Bhutia)। প্রতিবেশী দেশের জটিল পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য তাঁর। ভাইচুং বলেন, “শিলিগুড়ি নেপালের একেবারে সীমানায়। আমি নিজে সিকিমে থাকি, আর আমার অনেক বন্ধু ও আত্মীয় রয়েছেন নেপালে। তাই ওখানে যা ঘটছে, তা আমাদের এখানেও গভীর প্রভাব ফেলছে।”

অতীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশও একসময় এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ছিল। আজ নেপালও পরিবর্তনের সন্ধানে আছে। আমি আন্তরিক ভাবে চাই, এই পরিবর্তন যেন দেশটির জন্য আশার আলো নিয়ে আসে।”

কেন এই বিক্ষোভ?

নেপালের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত Gen-Z যুবক-যুবতীরা এই আন্দোলনের প্রধান চালিকাশক্তি। সরকারের দুর্নীতি এবং হঠাৎ করে ঘোষিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া থেকে এই আন্দোলনের সূচনা। যদিও পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, কিন্তু পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। এর ফলেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা হামলা চালান প্রধানমন্ত্রীর দফতরে, রাষ্ট্রপতির অফিস, সংসদ ভবন ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় বহু সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা।

উত্তপ্ত নেপাল! ৫১ নিহতের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয়ও

Advertisements

 

সেনাবাহিনীর কড়া বার্তা

বুধবার এক বিবৃতিতে নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, “প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ বা ব্যক্তি ও সম্পত্তির উপর হামলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনও পদক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উত্তাল সময়ে নেপালের গণতান্ত্রিক কাঠামো যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তেমনই দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়েও তৈরি হয়েছে গভীর শঙ্কা। এই রাজনৈতিক সংকট শুধু নেপালের সীমায় আটকে নেই। সিকিম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকার মানুষের মনেও পড়েছে তার ছায়া। বহু পরিবার, যাদের আত্মীয়-স্বজন নেপালে, তাঁরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গে বাইচুং ভুটিয়া বলেন, “আমরা প্রতিবেশী, ভাইয়ের মতো। ওদের যন্ত্রণায় আমরাও ব্যথিত। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই কালো মেঘের আড়ালেও রোদের আলো লুকিয়ে আছে।”

Bhaichung Bhutia says It is very unfortunate on Nepal Crisis