চলতি মরশুমে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। প্রথমেই দাপটের সাথে লড়াই করে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় সাইমন ব্রিগেড। সেখান থেকেই সাফল্যের সূত্রপাত। তারপর শুরু হয় দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। সেখানকার শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি সুনীলদের।
প্রথম দিকে একাধিক ম্যাচ হারার দরুন লিগ টেবিলের একেবারে তলানিতে থাকতে হয়েছিল তাদের। এরপর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সকলে সেখান থেকেই নক আউটের গন্ডি অতিক্রম করে সেমিফাইনালে চলে যায় প্রবীররা। প্রতিপক্ষ মুম্বাই সিটি এফসি। নির্ধারিত সময়ে খেলার মিমাংসা না হলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সাডেন ডেথে চলে যায় ম্যাচ। সেখানেই লাচেনপা দের পরাজিত করে আইএসএল ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় রয়কৃষ্ণারা।
ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার কিছুটা আগেই পেত্রাতোসের করা গোলে সমতায় ফেরে এটিকে মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে চলে যায় ম্যাচ। সেখানেই গুরপ্রীত সিংদের পরাজিত করে মরশুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তোলে এটিকে মোহনবাগান। তবে আইএসএল স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও সুপার কাপে নিজেদের পুরোনো ফর্ম ধরে রাখে সুনীলরা।
গতকাল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জামশেদপুর এফসি কে ২-০ গোলে পরাজিত করে বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও ম্যাচের ৬৭ মিনিটে জয়েশ রানের গোলে এগিয়ে যায় দল। তারপর ম্যাচের ৮৭ মিনিটের মাথায় সুনীল ছেত্রীর গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষে এই ব্যবধান ধরে রেখেই ফাইনালে চলে যায় বেঙ্গালুরু এফসি।
আজ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে নন্দকুমারের ওডিশা এফসি। ধারে ভারে ওডিশা এগিয়ে থাকলেও যেকোন সময়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে নর্থইস্ট। তবে শেষ হাসি কে হাসে এখন সেটাই দেখার। আজকের বিজয়ীদের সঙ্গেই আগামী ২৫ তারিখ ফাইনাল খেলবে বেঙ্গালুরু।