মোহনবাগানকে হারিয়ে আইএসএলের শীর্ষে বেঙ্গালুরু এফসি

আইএসএলে জোর ধাক্কা খেল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনার…

Bengaluru FC Defeated Mohun Bagan

আইএসএলে জোর ধাক্কা খেল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জেরার্ড জারাগোজার দলের কাছে পরাজিত হতে হল শুভাশিস বসুদের। গোল পেলেন যথাক্রমে এডগার মেন্দেজ, সুরেশ সিং ওয়ানজাম এবং সুনীল ছেত্রী। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে আসলো বেঙ্গালুরু এফসি।

আসলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাপক ছন্দে থেকেছে একবারের এই আইএসএল জয়ীরা। প্রথম দুই ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল তাঁদের। সেই ধারাই বজায় রাখতে মরিয়া ছিলেন বেঙ্গালুরু কোচ। তাছাড়া কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসি যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এদিন শুরু থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরু ফুটবলারদের। এই ম্যাচের শুরু থেকেই জর্জ পেরেইরা দিয়াজ রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলেও তাঁর অনুপস্থিতি প্রথম থেকে সেভাবে নজরে পড়েনি।

   

ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটের মাথায় গোল তুলে নেয় জারাগোজার ছেলেরা। যা কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিল মোহনবাগান দলকে। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই আক্রমণ বাড়াতে শুরু করেন আলবার্তো নগুয়েরা থেকে শুরু করে ভেঙ্কটেশরা। তারপর ২০ মিনিটের মাথায় আসে দ্বিতীয় গোল। এবার ব্যবধান বাড়িয়ে গেলেন সুরেশ সিং। যারফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে আসে জোসে মোলিনার মোহনবাগান। প্রথমার্ধের শেষে দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিল দিমিত্রি পেত্রাতোসদের।

সেইমতো বেশ কয়েকবার আক্রমণ ও করতে দেখা গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আটকে যেতে হয় বারংবার। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে বেঙ্গালুরু। ৫১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে নেয় দল। সেখান থেকেই ব্যবধান বাড়িয়ে যান ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তারপর সবুজ-মেরুনের ছন্নছাড়া ফুটবলে শেষ হয় ম্যাচ।