বাঙালি হয়েও বোধনে ভিয়েতনামি মহিলাদের হারাতে না পেরে ক্ষুব্ধ ছেত্রী

বিগত একমাস ধরেই চলছিল নানাভাবে অনুশীলন করে ফুটবলের রনভূমিতে ‘প্রতিপক্ষ’ বধের কৌশল। কিন্তু কৌশল সাজালেও ভিয়েতনামি মহিলাদের চক্রবুহ্যেই আটকে গেল ভারতের বিজয়রথের চাকা। গতকালই এএফসির…

Bengali Odisha FC Women's Coach Crispin Chettri Unhappy with Defeat to Ho Chi Minh City FC

বিগত একমাস ধরেই চলছিল নানাভাবে অনুশীলন করে ফুটবলের রনভূমিতে ‘প্রতিপক্ষ’ বধের কৌশল। কিন্তু কৌশল সাজালেও ভিয়েতনামি মহিলাদের চক্রবুহ্যেই আটকে গেল ভারতের বিজয়রথের চাকা। গতকালই এএফসির মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (AFC Women’s Champions League) ভিয়েতনামি দল হো চি মিন সিটি এফসির কাছে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয় ভারতের ওড়িশা সিটি এফসি। আর দলের এই পরাজয়েই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওড়িশার দলের কোচ ক্রিস্পিন ছেত্রী (Crispin Chettri)। একমাস ধরে দীর্ঘ অনুশীলনের পরও প্রয়োজনীয় জয় না পেয়ে স্বভাবতই হতাশ তিনি। আর এ বিষয়েই গতকাল সংবাদমাধ্যমের দ্বারা নিজের ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল ভিয়েতনামের থং নাট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিজের ছন্দ হারান ভারতের মহিলারা। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১মিনিটের মাথাতেই ভিয়েতনামি স্ট্রাইকার থি কিম ইয়েন দুর্দান্ত হেডে দলের প্রথম গোলটি করেন। ওড়িশার রক্ষণভাগ একপ্রকার হতচকিতের মতই গোলটি হজম করে।

   

এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ৪২ মিনিটের মাথায় ভিয়েতনামি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্লাবের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুং নিংথাপস। প্রথমার্ধেই প্রবল আক্রমণে এবং দুটি গোল হজম করে শুরুতেই ভেঙ্গে পরে ভারতীয় দলের ডিফেন্স। ওড়িশার মহিলা ডিফেন্ডারদের একপ্রকার হতাশ দেখায় গোটা ম্যাচ জুড়ে ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৬৩ মিনিটের মাথায় ওড়িশা ফরোয়ার্ড জেনিফার গোল শোধ করলেও ম্যাচে ফেরা আর হয়নি ক্রিস্পিন ছেত্রী এন্ড কোম্পানির। ৯০ মিনিট পার হলে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন হো চি মিন অধিনায়ক কিম ইয়েন। আর দলের এই বিভীষিকাময় পরাজয়ই মেনে নিতে পারেননি ওড়িশার বাঙালি কোচ ক্রিস্পিন ছেত্রী (Crispin Chettri )।

গতকাল হারের পর ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওড়িশা কোচ বলেন ,”ম্যাচ এভাবে হারতে হবে একেবারে ভাবতে পারিনি। বিগত একমাস ধরে আমরা অনুশীলনে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছি। আজকে বিদেশের মাটিতে পরাজয় হতাশ করেছে আমাকে। তবে হার থেকে সবসময় শিক্ষা নিয়ে এসেছি। আশা করি পরবর্তী ম্যাচ বেশ ভালো ভাবেই উপহার দিতে পারব দর্শকদের।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ছেত্রী উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। ওড়িশার কোচ হওয়ার আগে মহামেডান , টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মত দলে কোচিং করিয়েছেন। স্বভাবতই পুজোর মরশুমে বাংলা তথা ভারতকে জয়ের উৎসব (AFC Women’s Champions League) উপহার দিতে না পেরে বাঙালি হিসেবে রীতিমত ক্ষুব্ধ তিনি। তবে ক্ষুব্ধ থাকলেও সবসময় আশাবাদী থাকেন ছেত্রী। তাই আগামী ম্যাচ জেতাটাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য।