শুরু হয়ে গিয়েছে এবারের কলকাতা লীগ। ইতিমধ্যে হয়েছে একাধিক ম্যাচ। কলকাতা এবং কলকাতার আশেপাশের একাধিক ম্যাচে খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কল্যাণীর মাঠে হয়েছে এবারের কলকাতা ফুটবল লীগের প্রথম হ্যাটট্রিক। হ্যাটট্রিক করেছেন একজন বাঙালি ফরোয়ার্ড।
দীপেন্দু বিশ্বাস, অসীম বিশ্বাসের পর ধারাবাহিক বাঙালি স্ট্রাইকার সেই অর্থে আর উঠে আসেনি বললেই চলে। কলকাতা ফুটবল লীগে প্রতি বছর উঠে আসে এক ঝাঁক সম্ভাবনাময় ফুটবলার। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। প্রত্যেক দলে রয়েছেন একের পর এক প্রতিভাবান ফুটবলার। লীগ শুরু হতে না হতেই হ্যাটট্রিক, হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে পিকচার আভি বাকি হ্যায়। আশায় বাঁচে মানুষ, কলকাতা লীগের জৌলুস যতই ফিকে পড়ুক না কেন, টুর্নামেন্টের দিকে একবার হলেও অন্তত চোখ রাখবেন ফুটবল প্রেমী মানুষ। কারণ ময়দানের অভিজ্ঞরা জানেন যে এখানেই লুকিয়ে রয়েছে খাঁটি হীরে।
কলকাতা ফুটবল লীগের ম্যাচে পুলিশ এসিকে পরাস্ত করেছে এরিয়ান ক্লাব। এরিয়ানের পক্ষে ম্যাচের ফলাফল ৪-১। খেলা হয়েছিল কল্যাণীর মাঠে। এরিয়ানের চার গোলের মধ্যে তিনটি গোলই করেছেন সৈকত সরকার। সৈকত কল্যাণীর ছেলে। ঘরের মাঠে খেলেছেন নিজের মতো করে। এরিয়ানের বিরুদ্ধে টেকেনি পুলিশের ব্যারিকেড। খেলায় ফেরার মতো পরিস্থিতিতেও ছিল না পুলিশের ফুটবল দল।
ছেলেবেলা থেকেই ফুটবল খেলছেন সৈকত। ইতিমধ্যে খেলেছেন একাধিক ক্লাবে। আই লীগের ক্লাব রিয়াল কাশ্মীরের সদস্য হওয়ার সুযোগও ইতিমধ্যে তিনি পেয়েছেন। কাস্টমস, রেনবোর মতো দলেও ছিলেন একটা সময়। ভারতীয় ফুটবলে সৈকতের আইডল সুনীল ছেত্রী এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিজের আইডল মনে করেন।