সন্তোষ ট্রফিতে সঞ্জয় সেনের এই ছাত্রদের দাপটে ওডিশা বধ বাংলার, কী ঘটল দেখুন

সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ৭৮তম জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (78th National Football Championship) সেমিফাইনালে (Semi Final) পৌঁছাতে ওডিশার (Odisha) বিরুদ্ধে ৩-১ (3-1) গোলের দুর্দান্ত জয় অর্জন…

Sanjoy Sen and Bengal Football Team Qualify to Santosh Trophy Final beat Services by 4-2 goal

short-samachar

সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ৭৮তম জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (78th National Football Championship) সেমিফাইনালে (Semi Final) পৌঁছাতে ওডিশার (Odisha) বিরুদ্ধে ৩-১ (3-1) গোলের দুর্দান্ত জয় অর্জন করেছে বাংলা (Bengal)। ম্যাচটি ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে ডেকান অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হয়। এই জয়ের ফলে বাংলা ৫২ বার সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল এবং তাদের চিরাচরিত ফুটবল শক্তি হিসাবে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখল।

   

বছর শেষে মহামেডানের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পনা ওডিশার

ওডিশার বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হয়েছিল তাদের পক্ষে কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ ভাবে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে রাকেশ ওরাম একটি কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন, যা ওড়িশাকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। তবে বাংলা দলের জন্য এটি একটি ধাক্কা হলেও, তাদের রক্ষণভাগ সেই সময়ে কিছুটা অপ্রস্তুত ছিল। কিন্তু, ম্যাচের ধরন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোন ইঙ্গিত ছিল না।

ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ সময়ে, অতিরিক্ত দুই মিনিটে নরহরি শ্রেষ্ঠা একটি শক্তিশালী ডান পায়ের শটে গোল করে দলকে সমতা ফিরিয়ে আনেন। তাঁর এই গোলটি মানসিকভাবে দলকে চাঙ্গা করে তোলে এবং দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

চমকে উঠলেন ভক্তরা? রান না পাওয়ার কারণে একে দায়ী করলেন বিরাট কোহলি

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ওডিশা তাদের সৃষ্টিকৃত আধা-সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টা করতে থাকে, তবে তারা তেমন কোন বড় সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। তবে, এই অবস্থায় একেবারে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রবি হাঁসদা তাঁর দুর্দান্ত ফর্মের পরিচয় দেন। ৭৭ মিনিটে শ্রেষ্ঠা একটি দুর্দান্ত হেডে বলটি হাঁসদার কাছে পাঠান এবং তিনি তার বাম পায়ের আধা-ভলি শটে গোলে পরিণত করেন। এই গোলটি ছিল হাঁসদা এবারের সন্তোষ ট্রফিতে নবম গোল, যা তাঁকে গোলের দৌড়ে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়।

বাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে ‘বিস্ফোরক’ পাঞ্জাব কোচ প্যানাজিওটিস

৭৭ মিনিটে হাঁসদার গোলের পর ওড়িশার আশা কার্যত নিঃশেষ হয়ে যায়। তারা কিছুক্ষণ আক্রমণ করলেও, পশ্চিমবঙ্গের রক্ষণভাগ দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল এবং ওডিশার আক্রমণগুলো প্রতিহত করতে থাকে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কয়েক মিনিটে বাকি থাকতে থাকতে মনোতোষ মাঝির একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তৃতীয় গোলটি করে ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটে। তাঁর এই গোলটি নিশ্চিত করে দেয় বাংলা কোন বাধা না পেয়েই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।

প্রকাশ্যে এল আপডেট, লাল-হলুদ জার্সিতে এই দিন থেকে মাঠে নামবেন মাদিহ তালাল!

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলা সন্তোষ ট্রফিতে তাদের ৩৩ তম শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হলো। তাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জটি এখন সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

পশ্চিমবঙ্গের কোচ সঞ্জয় সেনের দলের জন্য এই ম্যাচটি ছিল একটি পরীক্ষা। তারা জানতো যে, ওডিশা এমন একটি দল যারা তাদের কাছে কম সুযোগে অনেক বড় অঘটন ঘটাতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং আক্রমণাত্মক খেলার মাধ্যমে ম্যাচটি নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসে। এটি ছিল বাংলার জন্য সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে তারা আবারো তাদের ফুটবল ঐতিহ্য এবং শক্তির পরিচয় দিয়েছে।