কোহলির ‘পরিবার নীতি’ মন্তব্যে কড়া ভাষায় জবাব বোর্ড সচিবের

ভারতীয় তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের (BCCI) বিদেশ সফরে পরিবার সম্পর্কিত নীতির সমালোচনা করেছেন। এর ফলে গুঞ্জন উঠেছিল যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড…

bcci-secretary-devajit-saikia-shuts-family-rule-rumours-virat-kohli-criticism

ভারতীয় তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের (BCCI) বিদেশ সফরে পরিবার সম্পর্কিত নীতির সমালোচনা করেছেন। এর ফলে গুঞ্জন উঠেছিল যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই নিয়ম পুনর্বিবেচনা করতে পারে। তবে বুধবার BCCI সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া (Devajit Saikia) এই গুঞ্জন খারিজ করেছেন। তিনি জানান এই নীতি এবং ভারতীয় দলের জন্য নতুন করে তৈরি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) “অপরিবর্তিত থাকবে”। সাইকিয়া বলেন, “বর্তমান পর্যায়ে এই নীতি অপরিবর্তিত থাকবে, কারণ এটি জাতি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান বিসিসিআইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

পরিবার সম্পর্কিত এই নিয়মটি বিসিসিআইয়ের ১০ দফার নির্দেশিকার অংশ। ভারতের টেস্ট ক্রিকেটে বিপর্যয়কর পারফরম্যান্সের পরে তৈরি করা হয়েছিল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল গত অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে অভূতপূর্ব হোয়াইটওয়াশের শিকার হয়েছিল। এরপরে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সিরিজেও হেরেছিল। নীতি অনুযায়ী, “বিদেশ সফরে ৪৫ দিনের বেশি সময় ভারতের বাইরে থাকা খেলোয়াড়রা প্রতি সিরিজে (ফরম্যাট অনুযায়ী) একবার তাদের সঙ্গী এবং ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তানদের সঙ্গে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় কাটাতে পারবেন।”

   

KKR ড্রেসিং রুমে কি নতুন চিন্তা?

এই এসওপি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় থেকে কার্যকর হয়েছিল। তবে এটি কিছু খেলোয়াড়ের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তাদের মধ্যে একজন। কোহলি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একটি আরসিবি ইভেন্টে এই নিয়মের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “যদি কোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি চান আপনার পরিবার সব সময় আপনার সঙ্গে থাকুক? তিনি বলবেন, হ্যাঁ। আমি আমার রুমে গিয়ে একা বসে মন খারাপ করতে চাই না। আমি স্বাভাবিক থাকতে চাই। খেলাকে একটি দায়িত্ব হিসেবে দেখতে পারলে, সেই দায়িত্ব শেষ করে জীবনে ফিরে আসা যায়।”

সাইকিয়া (Devajit Saikia) জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছু অসন্তোষ থাকলেও, এই নীতি ভারতীয় দলের সব সদস্য—খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার এবং সাপোর্ট স্টাফ—সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বিসিসিআই স্বীকার করে যে কিছু অসন্তোষ বা ভিন্ন মত থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাই তাদের মত প্রকাশ করতে পারেন। তবে এই নীতি সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং সবার স্বার্থে এটি বাস্তবায়িত হয়েছে।”

সাইকিয়া (Devajit Saikia) আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে এই নীতি হঠাৎ করে চালু করা হয়নি, বরং এটি দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় দলের মধ্যে প্রচলিত। তিনি বলেন, “এই নীতি রাতারাতি তৈরি হয়নি। আমাদের প্রেসিডেন্ট রজার বিনির খেলার সময় থেকে—এমনকি তারও আগে থেকে—এটি চালু ছিল। নতুন নীতি পুরোনোটির সংশোধন, যাতে প্র্যাকটিস সেশন, ম্যাচের সময়সূচি, সফর, লাগেজ, দলের চলাচল এবং অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য অতিরিক্ত বিধান যোগ করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য দলের ঐক্য ও সমন্বয়।”

আইনি জটিলতায় আটকে গেল KKR-এর বড় ম্যাচ

তবে, ভবিষ্যতে নিয়মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি সাইকিয়া। তিনি বলেন, “বিসিসিআই বিদেশ সফরে খেলোয়াড়দের পরিবারের সঙ্গে থাকার সময় বাড়িয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়ম শিথিল করার বিধান রয়েছে। তবে এটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হবে।”