ভারতীয় ক্রিকেটের মহোৎসব আইপিএল বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে। টুর্নামেন্টটি এখন ১৮তম সংস্করণের দ্বিতীয়ার্ধে রয়েছে। কিন্তু এই উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) মর্মান্তিক জঙ্গি হামলায় ২৮ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তপ্ত সম্পর্ককে আবারও সামনে এনেছে। দুই দেশের মধ্যে শেষ দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ হয়েছিল ২০১২ সালে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দাবি উঠেছিল। তবে পহেলগাঁওয়ের হামলা সেই সম্ভাবনাকে আরও দূরে ঠেলে দিয়েছে।
হায়দরাবাদকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে বড় লাফ মুম্বইয়ের,কেকেআরের পজিশন কত?
বিসিসিআই (BCCI)-এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla)এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা হামলার শিকারদের পাশে আছি এবং এই ঘৃণ্য কাজের নিন্দা জানাই। সরকার যা বলবে, আমরা তাই করব। পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলি না এবং ভবিষ্যতেও খেলব না। আইসিসি ইভেন্টে আমাদের খেলতে হয়, এবং আইসিসি পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে কাশ্মীরের রাস্তায় জনতার ঢল
আগামী মহিলা বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। পহেলগাঁওয়ের হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নেয়, তা ক্রিকেটবিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই ঘটনা ক্রিকেটের মাঠে দুই দেশের সম্পর্কের উপর নতুন করে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা ও আবেগের শীর্ষে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আইসিসি টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় লড়াই দেখা যায় না। পহেলগাঁওয়ের হামলা এই সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।