দেশীয় ফুটবলারদের উপর ভরসা রেখেই আজ ডুরান্ড অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে লড়াই করতে হয়েছিল মেহেরাজুদ্দিন ওয়াডুর মহামেডান দলের সঙ্গে। লড়াইটা যে মোটেও সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন বাস্তব রায় (Bastab Roy)। তাই সবদিক মাথায় রেখেই সপ্তাহ কয়েক আগে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন এই বাঙালি কোচ। মূলত ভারতীয় ব্রিগেডকে সামনে রেখেই বাজিমাত করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অনায়াসেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ভারতীয় ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা।
সেইসাথে দলের ফুটবলারদের খেলায় যথেষ্ট সন্তুষ্ট থাকতে দেখা যায় বাস্তব রায়কে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” প্রথম ম্যাচ যথেষ্ট কঠিন হয়। তারপর যদি লাল কার্ড দেখতে হয় তাহলে দশজনে লড়াই করে ম্যাচ জেতা আরও বেশি কঠিন। তবে দলকে খেলোয়াড়রা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে তাতে ম্যাচ বেরিয়েছে। ঠিক আছে।” তবে আপুইয়ার লাল কার্ড বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এগুলো পার্ট অফ দ্যা গেম হয়ে যেতেই পারে। মেনে নিতে হবে কিছু করার নেই। কারুর একক পারফরম্যান্স নয় দলের সকলেই লড়াই করেছে। একা কেউ লড়লে জেতা সম্ভব হতো না।”
লিস্টন (Liston Colaco) প্রসঙ্গে বাস্তব রায় জানান, ” লিস্টন গোল করেছে। ওটাই ওর কাজ। সবাই খুব ভালো খেলেছে। তাছাড়া আমাদের দল প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়েছে আমি খুশি।” পাশাপাশি মহামেডান দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ও যথেষ্ট প্রশংসা করেন তিনি। বাস্তব রায়ের কথায় মূলত দলগত পারফরম্যান্সের দিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ওদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আমরা দশজন হয়ে যাওয়ার পর ওরা যদি আরও কিছুক্ষণ আমাদের চাপে রাখতো ম্যাচের ফলাফল বদল হলেও হতে পারতো।
অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসী লিস্টন কোলাসো। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমি আমার প্রথম গোল আমার স্ত্রী এবং পরিবারকে উৎসর্গ করছি। এবং দ্বিতীয় গোলটি আমি আমাদের সকল সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। আরও বলেন, ” গত বছর যে সমস্ত ভুলভ্রান্তি করেছি সেগুলো শুধরে নেওয়াই আমার এই সিজনের প্রধান লক্ষ্য। নিজেকে সেইভাবেই প্রস্তুত করছি। তাছাড়া প্রথম ম্যাচে গোল করেছি। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আশা করি পরবর্তীতে দলের হয়ে সাফল্যের অবদান রাখতে পারব।”