অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ম্যাক্সউইনি, উচ্ছ্বসিত বাটলেট

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলে ন্যাথান ম্যাক্সউইনির (Nathan McSweeney) অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তার সতীর্থ জেভিয়ার বাটলেট। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান টুর্নামেন্ট, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম…

McSweeney's Debut in Australia BGT Squad Against India

short-samachar

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলে ন্যাথান ম্যাক্সউইনির (Nathan McSweeney) অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তার সতীর্থ জেভিয়ার বাটলেট। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান টুর্নামেন্ট, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হতে চলেছে ম্যাক্সউইনির। টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ২২ নভেম্বর পার্থে।

   

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশ নিয়ে চলতে থাকা উদ্বেগ নিরসনে ন্যাথান ম্যাক্সউইনিকে দলে নেওয়া হয়েছে। পার্থের উইকেট, যা ঐতিহ্যগতভাবে পেসারদের জন্য সহায়ক, সেখানে ম্যাক্সউইনির অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ম্যাক্সউইনির শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বাটলেট বলেন, “আমরা যখন ১১ বা ১২ বছর বয়সে একসঙ্গে খেলতাম, তখন থেকেই তার এই দীর্ঘ যাত্রা দেখে আমি সত্যিই গর্বিত। আজ সে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছে। আমি খুবই খুশি।”

কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের পথ
বাটলেট আরও বলেন, “ওর কঠোর পরিশ্রম এবং নিবেদনের জন্য এই সাফল্য এসেছে। আমি নিশ্চিত, মাঠে ও তার প্রতিভা দেখাতে পারবে এবং আশা করি অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভালো কিছু করবে।”

অস্ট্রেলিয়া এ দলের পারফরম্যান্সে নির্বাচকের আস্থা অর্জন
ম্যাক্সউইনির এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। প্রথম অনানুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি প্রথম ইনিংসে করেন ৩৯ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮৮ রান করেন। দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক টেস্টে তাকে ওপেনার হিসেবে প্রমোট করা হয়, তবে এই ম্যাচে বড় রান করতে ব্যর্থ হন। তবে সামগ্রিক পারফরম্যান্সই তাকে মূল দলে সুযোগ করে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের স্কোয়াড
ভারতের জন্য এই সিরিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের স্কোয়াডেও বেশ কিছু তরুণ এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় স্কোয়াডে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সহ-অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ, এবং বিরাট কোহলি সহ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা।

অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে রয়েছেন প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে এবং মিচেল স্টার্কের মতো শীর্ষ খেলোয়াড়রা, যারা ইতিমধ্যে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।

প্রতিযোগিতার গুরুত্ব
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার জন্য অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজ হিসেবে বিবেচিত হয়। দু’দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এই সিরিজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ২০২০-২১ সালে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিল, এবং এই সিরিজেও ভারত সেই গৌরব পুনরায় অর্জন করতে চায়। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া তাদের ঘরের মাটিতে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা এবং দুই দলের মনোভাব
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। নতুন খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি, বিশেষ করে ম্যাক্সউইনির অভিষেক, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভারতও শুবমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল এবং ঋষভ পন্থের মতো তরুণ প্রতিভাদের উপর নির্ভর করছে।

পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বোলাররা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

সিরিজের প্রথম টেস্ট পার্থে
পার্থে প্রথম ম্যাচটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে কারণ এখানে পেস বোলিংয়ের জন্য সহায়ক পিচ থাকায় দুই দলের পেসারদের জন্য বড় ভূমিকা থাকবে। এই ম্যাচটি নির্ধারণ করতে পারে দুই দলের মনোভাব এবং কৌশলের গতিপথ।

ম্যাক্সউইনির অভিষেকের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার দলে নতুন রক্তের সংযোজন ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার দলে উচ্ছ্বাস এবং উৎসাহের মধ্যে দিয়ে এই নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আরও ভালো পারফরম্যান্স প্রদানের লক্ষ্যে মাঠে নামবে। অন্যদিকে, ভারতও সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং সিরিজে তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে আত্মবিশ্বাসী।