সপ্তাহ খানেক আগেই ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করেছে হুয়ান ফেরেন্দোর এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan FC)। যার ফলে, ওডিশার মুখোমুখি হওয়ার আগে যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল মনবীর-প্রীতমদের। পাশাপাশি গতকাল প্রেস মিটে ও বিশেষ কোনও চমকের ইঙ্গিত মেলেনি বাগানের হেড স্যারের তরফ থেকে। তবে যেমন করেই হোক নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মাথায় ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে বর্তমান পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখে ওডিশা নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী মেজাজে দেখা যায় ফেরেন্দোকে।
বলাবাহুল্য, এবারের আইএসএলে হুগো বুমোস ও পেত্রাতোসের মতো খেলোয়াড়দের উপস্থিতি যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি প্রীতম কোটালের মতো খেলোয়াড় রক্ষনভাগের দায়িত্বে থাকায় যথেষ্ট ভরসা পাচ্ছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তবে দলের প্রধান সমস্যা দেখা দিতে পারে পজেটিভ স্ট্রাইকারের ক্ষেত্রে। যারফলে একাধিক ম্যাচেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফেরান্দোর ছেলেদের। সঙ্গে রয়েছে চোট- আঘাতের মতো সমস্যা। তাই নক আউট পর্ব শুরু করার আগে প্রথম একাদশ সাজাতে কিছুটা হলেও বেগ পেতে হচ্ছে বাগানের হেডস্যারকে।
খাতায় কলমে এটিকে শিবির কিছুটা এগিয়ে থাকলেও নক আউটের লড়াই যে শেয়ানে শেয়ানে হতে চলেছে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। মূলত রয়কৃষ্মার পরিবর্তে দলে পেত্রাতোসের মতো আক্রমনাত্মক মিডফিল্ডারকে দলে আনায় দেখা দিয়েছিল বিতর্ক। পাশাপাশি সক্রিয় রাখা হয় লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে হুগো বুমোসের মতো তারকাদের। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পালনে অসফল থাকেন তারা। এবারের মরশুমে সব মিলিয়ে ৯টি গোল করার রেকর্ড পেত্রাতোসের থাকলেও তার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে পারছেন না কোচ। এক কথায় ফিনিশারের অভাবে ভুগছে সবুজ-মেরুন শিবির।
পাশাপাশি রয়েছে খেলোয়াড়দের চোট-আঘাতের মতো সমস্যা। যারফলে অনেকটাই নড়বড়ে বাগানের রিজার্ভ বেঞ্চ। আসলে মরশুমের শুরুতে দীপক টাংরি, জনি কাউকে, ও পোগবার মতো খেলোয়াড়দের চোট গুরুতর থাকায় দলে বিকল্প খুঁজতে কালঘাম ছুটেছে বাগান শিবিরের। সেই সাথে কিয়ান নাসিরি ও ফারদিন আলির মতো খেলোয়াড়দের পুরো সময় ধারাবাহিক ভাবে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। যারফলে আজ একাধিক দুশ্চিন্তা নিয়ে মাঠে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।