দাপুটে ফুটবলের মধ্যে গত আইএসএল সিজন শুরু করেছিল পঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল মিকেল স্ট্যাহরের শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সকে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছেই। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই দেখা গিয়েছিল পাঞ্জাবের এই ফুটবল ক্লাবের দাপট। সেবার লুকা মাজসেন থেকে শুরু করে মিজল জ্যাকের মতো ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সহজেই মন জয় করেছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। যারফলে টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের ছেলেরা।
কিন্তু সেটা বজায় থাকেনি পরবর্তীতে। বিশেষ করে এফসি গোয়ার পাশাপাশি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মতো ফুটবল ক্লাবের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই মনোবল কমতে শুরু করেছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাবের। সেই প্রভাব পড়েছিল পরবর্তী ম্যাচে। অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁদের পরাজিত হতে হয়েছিল দুর্বল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে দুইটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ও জয় সুনিশ্চিত করতে পারেনি পাঞ্জাব। তারপর লাল-হলুদের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছিল আইএসএলের এই দলকে।
পারফরম্যান্স এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল শিল্ড জয়ের থেকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সে স্থান করে নেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল তাঁদের কাছে। শেষ পর্যন্ত লিগ টেবিলের দশম স্থানে শেষ করেছিল দল। তারপর কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য থাকলেও কাজে আসেনি সেই লড়াই। মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। পরবর্তীতে মরসুমের শেষে দলের একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদেরকে রিলিজ করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে ছিলেন বসনিয়ার তারকা ফুটবলার আজমির সুলজিক (Asmir Suljic)।
শেষ সিজনে দলের হয়ে প্রায় ২৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই বিদেশি উইঙ্গার। যার মধ্যে ৪টি গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্ট ও ছিল আজমিরে। কিন্তু তবুও তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না আইএসএলের এই ফুটবল দল। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে বিদায় জানায় ভারতের এই ফুটবল ক্লাব। এবার তাঁকে নিয়েই উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, নয়া ফুটবল মরসুমে হাঙ্গেরির দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব সেজেগেড-সানাদ – জিওর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন বছর তেত্রিশের এই ফুটবলার। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে সমস্ত কিছু।