আগের সিজনে যথেষ্ট দাপুটে পারফরম্যান্স ছিল বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC)। দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের প্রথম ম্যাচে তাঁরা পরাজিত করেছিল কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান দল ইস্টবেঙ্গলকে। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সকলের। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছিল ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছিল সুনীল ব্রিগেড। অতি সহজেই তাঁরা স্থান করে নিয়েছিল সুপার সিক্সে। পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে ও ছিল জেরার্ড জারাগোজার ছেলেদের দাপট। মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিপক্ষে অতি সহজেই এসেছিল জয়। সুনীল ছেত্রীর গোল বদলে গিয়েছিল সমস্ত হিসাব নিকেশ।
কিন্তু সেটা কাজ করেনি ট্রফি জয়ের ম্যাচে। কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে একটা সময় এই ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছিল বাগান শিবির। তবে সেই হতাশা কাটিয়ে নতুন মরসুমে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ বেঙ্গালুরু (Bengaluru FC) শিবিরের। তাই অনেক আগে থেকেই দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের রিলিজ করে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। পুরনো দলের মধ্যে মাত্র কয়েক বিদেশিকে রেখে বাকিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা ছিল আইএসএলের এই ফুটবল দলের। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
তবে সেই হতাশা কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ আইএসএল জয়ীদের। এক্ষেত্রে আসন্ন সুপার কাপকে পাখির চোখ করেছে কর্নাটকের এই ফুটবল ক্লাব। সেইমতো নিজেদের প্রস্তুত করতে শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এসবের মাঝেই এবার উঠে আসলো নয়া তথ্য। জনপ্রিয় মাধ্যম সূত্রে খবর ছিল দলের আক্রমণভাগ শক্তিশালী করতে এবার আশিক কুরুনিয়ানের (Ashique Kuruniyan) সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করতে চলেছে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। কিছুক্ষণ আগেই নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে সেই কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে আইএসএলের এই ক্লাব।
এই ভারতীয় তারকার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে দলকে। গত কয়েক বছর ধরেই সবুজ-মেরুন জার্সিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল এই ফুটবলারের। কিন্তু এবার নতুন দল। নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই প্রসঙ্গে নিজের সোশ্যাল সাইটে তিনি ( (Ashique Kuruniyan)) লেখেন, “মোহনবাগানের সাথে আমার জীবনের শেষ তিন বছর স্বপ্নের মতো ছিল। এই ঐতিহাসিক জার্সি পরা, মাঠে লড়াই করা এবং সতীর্থদের সাথে ৪টি ট্রফি জয় করা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হয়ে থাকবে।”