বাংলাদেশে গত বছর (২০২৪) গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিকর্কিত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ পালাবদলের পর থেকে বিদেশেই আছেন সাকিব। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হলো গ্রেফতারি পরোয়ানা।
বাংলাদেশে না ফিরলেও সাকিব তাঁর দেশের হয়ে ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভে নিহতদের পরিবারের তরফে হত্যাকান্ড চালানোর মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি নিজ দেশে ফেরেননি।
জানা যাচ্ছে, ‘চেক ডিজঅনার’ মামলায় আওয়ামী লীগের প্রাক্রন সাংসদ ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আদালতে হাজির না হওয়ায় এই আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহ: জিয়াউর রহমান।
গত বছরের (২০২৪) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের ঢাকা বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর বিপরীতে সাকিবের মালিকানাধীন কোম্পানি দুটি চেক ইস্যু করে। সেই চেক দুটি অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা ডিজঅনার হয়। দুটি চেকের মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত আসামিদের আজকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে। তবে সাকিবসহ বাকি অভিযুক্তরা আদালতে আসেননি।
বাংলাদেশে হাসিনা জমানা শেষে সাকিব ভীত। সরকার পতনের পর তাঁকে বিদেশের মাঠে ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আতঙ্কিত সাকিব ঠিক করেন দেশে আপাতত ফিরবেন না।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা-ভাঙচুর করেছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন মাগুরা-১ আসরের সাংসদ। তার পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আরও এক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।