আপুইয়ারের গোলে আইএসএল ফাইনালে সবুজ-মেরুন

পিছিয়ে থেকেও জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপার জায়ান্ট। সোমবার সন্ধ্যায় সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইন্ডিয়ান সুপার লেগের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনা‌র ছেলেরা।…

Apuia's Goal Sends Mohun Bagan to ISL Final After Stunning Comeback

পিছিয়ে থেকেও জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপার জায়ান্ট। সোমবার সন্ধ্যায় সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইন্ডিয়ান সুপার লেগের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনা‌র ছেলেরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। দলের হয়ে এদিন গোল করেন যথাক্রমে জেসন কামিন্স এবং আপুইয়া। যার কোনও জবাব ছিল না প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের কাছে। প্রথম লেগের পর এগ্ৰিগেডে পিছিয়ে থাকতে হলেও এদিন দুই গোলে ম্যাচ জেতার ফলে ৩-২ এর এগ্ৰিগেডে ফাইনালে চলে গেল বাগান ব্রিগেড।

এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল মেরিনার্সরা। তবে গোলের মুখ খুলতে গিয়ে কালঘাম ছুঁটে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে জেসন কামিন্সদের। প্রথমার্ধে এগ্ৰিগেডে এগিয়ে থাকার সুবাদে একেবারে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দিয়েছিল প্রণয় হালদার থেকে শুরু‌লাজার সিরকোভিচ কিংবা মহম্মদ উভাইস। তবে সময় যত এগিয়েছে ততই জামশেদপুর ডিফেন্সে চাপ বাড়াতে থেকেছে জোসে মোলিনার ছেলেরা। অজি তারকা জেসন কামিন্সের পাশাপাশি অনিরুদ্ধ থাপা বেশ কয়েকটি গোলমুখী শট নিতে সক্ষম হলেও অনায়াসেই সেগুলি আটকে দিয়েছিলেন জামশেদপুর গোলরক্ষক আলবিনো গোমস।

   

যারফলে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয়েছিল ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়েছিল মোহনবাগান। তারপর ৫১ মিনিটের মাথায় প্রণয় হালদারের হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেয় মোহনবাগান। সেখান থেকেই গোল করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জেসন কামিন্স। এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। তারপর থেকেই রক্ষণাত্মক ফুটবল ছেড়ে আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে রেই তাচিকাওয়ারা থেকে শুরু করে জর্ডান মারিরা। তবে বিশাল কাইথের দক্ষ হাতে আটকে যেতে হয় বারংবার।

Advertisements

তারপর ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি মনবীর সিংয়ের মত দাপুটে ফুটবলারদের মাঠে নামিয়ে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেন জোসে মোলিনা‌। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে আর গোলের দেখা না মিললেও অতিরিক্ত পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৯৪ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে উঠে দুরপাল্লার শট নেন আপুইয়া। যা আটকানো সম্ভব হয়নি আলবিনো গোমসের পক্ষে। যারফলে একটি গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় মোহনবাগান।