কবে থেকে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে যোগ দেবেন আনোয়ার ও জিকসন?

চলতি সিজনের শুরু থেকেই কার্যত নাজেহাল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা আইএসএল, একের পর এক ম্যাচে মিলেছে শুধুই হতাশা। এই পরিস্থিতিতে…

Anwar Ali East Bengal Jeakson Singh

চলতি সিজনের শুরু থেকেই কার্যত নাজেহাল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা আইএসএল, একের পর এক ম্যাচে মিলেছে শুধুই হতাশা। এই পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর পরিবর্তে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অস্কার ব্রুজনের হাতে। পূর্বে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই এই ভারতীয় ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ করে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকেই নিজেদের পুরনো ছন্দ ফিরতে থাকে মশাল ব্রিগেডের।

প্রথম ম্যাচে ভুটানের শক্তিশালী দল পারো এফসির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বাংলাদেশের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের পাশাপাশি লেবাননের শক্তিশালী ফুটবল দল নাজমেহ এফসিকে হারিয়ে নিজেদের পুরনো ছন্দ ফিরে পায় কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েই মহামেডানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ডার্বি খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে থাকতে হলেও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই প্রধান।

   

জয় না আসলেও নয়জনের ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স মন জয় করেছে সকলের। তবে সেই ম্যাচ ভুলে এবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের প্রথম জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল দল। সেজন্য সাময়িক বিরতির পর গত সপ্তাহ থেকেই ফের অনুশীলনে নেমে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। প্রথমদিকে দলের অধিকাংশ বিদেশি ফুটবলার অনুপস্থিত থাকলেও পরবর্তীতে শহরে ফিরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রায় সকলেই। জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে হিজাজি মাহের এখনও এসে না পৌঁছালেও খুব‌ শীঘ্রই এসে যাবেন শহরে।

অন্যদিকে, জাতীয় শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে এখনও পর্যন্ত দলের অনুশীলনে যোগ দেননি ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা ফুটবলার। যাদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার আলি এবং জিকসন সিং। আসলে পর পর শিবিরে থাকার পর জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে দুই তারকা ফুটবলারকে সাময়িক ছুটি দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। যতদূর খবর, আগামী ২৫শে নভেম্বরের মধ্যেই শহরে এসে পৌঁছাবেন এই দুই ভরসাযোগ্য ফুটবলার। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬শে নভেম্বর থেকেই তাঁরা যোগ দিতে পারেন দলের অনুশীলনে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, আনোয়ার ও জিকসন দলের সঙ্গে যোগ দিলে কেমন হবে তাদের পারফরম্যান্স? দলের নতুন কোচ অস্কার ব্রুজন ইতিমধ্যেই কয়েকটি ম্যাচে দলের চেহারা বদলাতে সফল হয়েছেন। এই দুই ফুটবলার যদি সময়মতো দলের সঙ্গে যোগ দেন, তাহলে মশাল ব্রিগেডের ভরসার জায়গা আরও শক্ত হবে। সুতরাং, তাদের যোগদান ইস্টবেঙ্গলের দলকে আরও শক্তিশালী এবং একতাবদ্ধ করবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা নিশ্চয়ই নিজেদের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ আশাবাদী। কারণ দল নতুন কোচের অধীনে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এবং আনোয়ার ও জিকসনের উপস্থিতি সেই স্বপ্নকে আরো বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে।