গত রবিবার ওডিশা এফসির বিপক্ষে আইএসএলের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। এই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় ম্যাচটি, যেখানে গোলের ভাগাভাগি হয় ১-১। গত তিনটি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে জয়লাভ করা সবুজ-মেরুনের লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচটিও জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় জয় পাওয়া। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি! এবং এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
মোহনবাগানের জন্য ম্যাচটি শুরু হয়েছিল খারাপভাবে, কারণ হুগো বুমোসের গোলের মাধ্যমে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ভারতীয় ফরোয়ার্ড মনবীর সিংয়ের গোলে সমতা ফিরে আসে। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে, তবে কোন দলই গোল পেতে পারেনি।
এরই মধ্যে এক দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে। ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার মুর্তাজা ফল কিছু সময়ের জন্য ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুরপাল্লার শটটি লক্ষ্যে না পৌঁছানোয় দলের পক্ষে ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এই সময় যদি শটটি সঠিকভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতো, তাহলে এক পয়েন্ট না নিয়ে জয়ের সঙ্গে মাঠ ছাড়তে পারত ওডিশা।
মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়ানোর জন্য জেসন কামিন্সকে মাঠে নামান, কিন্তু আক্রমণটি যে সফল হতে পারবে তা হয়নি। বরং, এক পর্বে আক্রমণ করতে গিয়ে বারবার প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার আহমেদ জাহুরের ট্যাকেলের শিকার হন ভারতীয় ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa)। এর পরেই কোচ মোলিনা বাধ্য হন তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নিতে। অনিরুদ্ধকে বদলি করে মাঠে নামান সাহাল আব্দুল সামাদ, কিন্তু তাও খেলা থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
ম্যাচ শেষে, যখন সবুজ-মেরুন দলটি মাঠ ছাড়ছিল, তখন অনিরুদ্ধ থাপাকে (Anirudh Thapa)।সতীর্থদের সহায়তায় টিম বাসে ফিরতে দেখা যায়। তাঁর চোটের পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ম্যানেজমেন্ট দ্রুত তাঁকে ম্যাচফিট করতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আগামী মালয়েশিয়া ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের শিবিরে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa)।।
মোহনবাগান এই ম্যাচ থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে, তবে অনিরুদ্ধ থাপার চোট পুরো দলের মনোভাবকে চিন্তায় ফেলেছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং দলে ফিরে আসবেন।
এখন, মোহনবাগান এবং অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa)। সমর্থকদের কাছে বড় প্রশ্ন হলো, জাতীয় শিবিরের জন্য তাঁর ফিটনেস কতটা প্রস্তুত হবে, এবং আসন্ন ম্যাচে তিনি দলে থাকবেন কিনা। মোহনবাগান এবং তার সমর্থকদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা এবং দলটির পরবর্তী ম্যাচগুলিতে তার অনুপস্থিতি কঠিন হতে পারে।