Amit Tudu: মোহনবাগানকে হারিয়ে জিতেছিলেন শিল্ড, এখনও হারিয়ে যাননি অমিত টুডু

Advertisements অমিত টুডু (Amit Tudu)- এক সময়কার উদীয়মান তারকা। জিতেছেন বহু ট্রফি। চোট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আজ হয়তো খেলতেন অনিরুদ্ধ থাপা, ছাংতে-দের সঙ্গে। মোহনবাগানকে…

Amit Tudu CFL

Advertisements

অমিত টুডু (Amit Tudu)- এক সময়কার উদীয়মান তারকা। জিতেছেন বহু ট্রফি। চোট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আজ হয়তো খেলতেন অনিরুদ্ধ থাপা, ছাংতে-দের সঙ্গে। মোহনবাগানকে হারিয়ে জিতেছিলেন আইএফএ শিল্ড। কেউ হয়তো বলবেন, অমিত টুডু হারিয়ে যাওয়া এক প্লেয়ার। অমিত নিজে বললেন, “আমি এখনও হারিয়ে যাইনি।”

   

যারা বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ফুটবল ফলো করেন তাঁরা অমিত টুডুর নাম নিশ্চই শুনেছেন। বাংলার অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলারদের মধ্যে গণ্য করা হতো তাঁকে। ধারাবাহিকভাবে খেলেছেন ভারতের বয়সভিত্তিক দলে। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে হয়েছিলেন রানার্স-আপ। অনূর্ধ্ব ১৮ আই লিগে জিতেছিলেন ফেডারেশনের নিজস্ব দলের হয়ে। ২০২২ সালে হয়েছিলেন ন্যাশনাল গেমস চ্যাম্পিয়ন। বাংলার হয়ে খেলেছেন সন্তোষ ট্রফি। পুনে সিটি এফসির হয়ে জিতেছিলেন শিল্ড, হারিয়েছিলেন মোহনবাগানকে।

East Bengal: ৪ জন নিশ্চিত, ভূমিপুত্রদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছ ইস্টবেঙ্গল!

বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে খেলেছেন নিয়মিত। ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন অল্প বয়সে। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তাল কাটল এসিএল ইনজুরি। এসিএল ইনজুরির কারণে বহু ফুটবলার হারিয়ে গিয়েছেন মাঠ থেকে। অমিত নিজেও ভেবেছিলেন চোট সারতে সময় লাগবে অনেকটা। চিকিৎসকের দক্ষতায় সময়ের অনেকটা আগে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন অমিত টুডু।

চোট কাটিয়ে মাঠে নামলেও কেরিয়ারের কাঙ্খিত উচ্চতা আপাতত ছুঁতে পারেননি অমিত। এখন বয়স ২৬, সামনে লম্বা কেরিয়ার। ঘুরে দাঁড়ানোর মতো প্রচুর অবকাশ রয়েছে বলে তিনি নিজে বিশ্বাস করেন। আসন্ন কলকাতা ফুটবল লিগে খেলব সুরুচি সংঘের হয়ে। সুরুচি এবার ভাল দল গড়েছে। এই দলে রয়েছেন রানা ঘরামি। এর আগে পিয়ারলেসের হয়ে খেলেছেন তিন বছর।

CFL: ৬ গোল করেও মেলেনি বড় দল, রেলের হয়ে খেলে ঘুরে দাঁড়াতে চান সারকিন

রানা ঘরামির সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পূর্বতন ক্লাব দিল্লি ডায়নামোসের অংশ ছিলেন অমিত টুডু। ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন দেশের বহু ক্লাবে। অমিত জানিয়েছেন, “আগে বাইরে বাইরে খেলতাম। কলকাতায় সে ভাবে কারও সঙ্গেই পরিচয় ছিল না।”

এক সময় বুট কেনার সামর্থ ছিল না অমিত টুডুর। এক জোড়া ছেঁড়া বুট ছিল সম্বল।অমিত টুডু বলেছেন, “ওসমান কাকু (ওসমান আলি মন্ডল) না থাকলে এতো দূর আসতে পারতাম না।” অমিত জোর গলায় বলেছেন, “অনেকেই হয়তো বলবেন যে অমিত টুডু হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু না, আমি এখনও হারিয়ে যাইনি।” সুরুচির হয়ে খেলে নিজেকে ফের প্রমান করতে প্রস্তুত অমিত টুডু।