শেষ কিছু বছর ধরে একবারেই সাফল্যের ধারে কাছে নেই আইজল এফসি (Aizawl FC)। গত আইলিগের প্রথম লেগে লড়াকু পারফরম্যান্স করলেও সময় এগোনোর সাথে সাথেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল মিজোরামের এই ফুটবল দল। তবুও চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল দলের ফুটবলারদের। সেইমতো ফুটবলারদের প্রস্তুত করেছিলেন দলের কোচ। তবে খুব একটা আহামরি পারফরম্যান্স থাকেনি। ডেম্পোর সঙ্গে অমীমাংসিত ফলাফলের মধ্যে দিয়ে আইলিগ অভিযান শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসলেও বজায় ছিল না সেই ছন্দ।
কার্যত ড্র করে একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল আইজল এফসি। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ ছিল সকলেই। এই পরিস্থিতিতে গত উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগাতে মরিয়া ছিল ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে দলের রক্ষণভাগ মজবুত করার দিকেই বাড়তি নজর ছিল দলের। এক্ষেত্রে আইএসএলের ক্লাব গুলির ফুটবলারদের দিকে বাড়তি নজর ছিল আইজল দলের।সেই পরিকল্পনা কিছুটা ফলপ্রসু হলেও দলের পারফরম্যান্সের খুব একটা বদল হয়নি। যারফলে পুনরায় দশ নম্বরে শেষ করে আইজল এফসি। ভালো পারফরম্যান্স করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু তবুও নয়া সিজনের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে অনেক আগেই জোমুয়ানসাঙ্গার সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছিল আইলিগ জয়ী এই ফুটবল দল। তারপর দলের রক্ষণভাগকে মজবুত করার ক্ষেত্রে সাইলো রোমিংথাঙ্গাকে দলে টেনেছিল আইজল। একটা সময় বেঙ্গালুরুর যুব দলের হয়ে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বছর বাইশের এই সেন্টার ব্যাক। পরবর্তীতে যোগদান করেছিলেন আইজল এফসিতে। কিন্তু আগের সিজনে তাঁকে দলে টেনেছিল সুদেবা দিল্লী ফুটবল দল। কিন্তু নয়া মরসুমে তাঁকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু সেখানেই শেষ হয়নি দল গঠন। এবার চানমারি এফসি থেকে এক তরুণ ফুটবলারকে দলে টেনে নিল আইলিগ জয়ী এই ফুটবল দল। তিনি ভিনসেন্ট লালদুহাওমা। শেষ মরসুমে দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগে দলের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল এই ভারতীয় ফুটবলারের। এমনকি সেই ডিভিশনে দলকে রানার্স করার ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট দক্ষতা ছিল বছর বাইশের এই প্রতিভার। এবার আপফ্রন্টকে শক্তিশালী করতে তাঁকেই টানল আইজল।