বিগত কয়েক সিজন ধরেই খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স থাকেনি আইজল এফসির (Aizawl FC)। দ্বিতীয় ডিভিশন টুর্নামেন্ট তথা আইলিগে প্রথম লেগে লড়াকু পারফরম্যান্স করলেও সময় এগোনোর সাথে সাথেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল মিজোরামের এই ফুটবল দল। এক্ষেত্রে গত বছর টেবিলের দশ নম্বর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল পাহাড়ের এই ফুটবল দল। তাই বাকি ক্লাব গুলির তুলনায় খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু করেছিল আইজল। পরবর্তীতে বহু পরিকল্পনা নিয়ে অভিযান শুরু করলেও খুব একটা আহামরি পারফরম্যান্স থাকেনি।
ডেম্পোর সঙ্গে অমীমাংসিত ফলাফলের মধ্যে দিয়ে আইলিগ অভিযান শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসলেও বজায় ছিল না সেই ছন্দ। ড্র করে একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল আইজল এফসি। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ ছিল সকলেই। এই পরিস্থিতিতে উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগাতে মরিয়া ছিল ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে দলের রক্ষণভাগ মজবুত করার দিকেই বাড়তি নজর ছিল ভিক্টর লালবিকমাউইয়ার। এক্ষেত্রে আইএসএলের ক্লাব গুলির ফুটবলারদের দিকে বাড়তি নজর ছিল আইজল দলের।
সেই পরিকল্পনা কিছুটা ফলপ্রসু হলেও দলের পারফরম্যান্সের খুব একটা বদল হয়নি। যারফলে পুনরায় দশ নম্বরে শেষ করে আইজল এফসি। ভালো পারফরম্যান্স করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তবুও নয়া সিজনের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে অনেক আগেই জোমুয়ানসাঙ্গার সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছিল আইলিগ জয়ী এই ফুটবল দল। এবার দলের রক্ষণভাগকে মজবুত করার ক্ষেত্রে সাইলো রোমিংথাঙ্গাকে দলে টানল আইজল। তবে এটাই প্রথম নয়। হিসাব অনুযায়ী দেখলে আগেও পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাবের খেলেছেন মিজোরামের এই ডিফেন্ডার।
একটা সময় বেঙ্গালুরুর যুব দলের হয়ে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বছর বাইশের এই সেন্টার ব্যাক। পরবর্তীতে যোগদান করেছিলেন আইজল এফসিতে। কিন্তু আগের সিজনে তাঁকে দলে টেনেছিল সুদেবা দিল্লী ফুটবল দল। কিন্তু নয়া মরসুমে ফের নিজের পুরনো দলের জার্সিতেই খেলবেন রোমিংথাঙ্গা।