ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) ২০২৫-২৬ মরসুমের শুরুতে সুপার কাপ আয়োজনের বিষয়ে এক বড় সমস্যায় পড়েছে। বর্তমানে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর নিয়মিত মরসুমের শেষ হওয়ার একেবারে আগে, সুপার কাপের ( Super Cup) জন্য উপযুক্ত স্থান এবং তারিখ নির্ধারণে সমস্যায় পড়েছে ফেডারেশন।
গতবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল ওডিশায়। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল ম্যাচগুলোর প্রোডাকশন এবং সম্প্রচার অধিকার বিক্রির জন্য।গতবছর ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল যা ছিল ২০১২ সালের ফেডারেশন কাপের পর প্রথম ট্রফি।
সুপার কাপ কি বাতিল হতে চলেছে?
গতবারের সংস্করণটি বেশ বড় আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৬টি দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল এআইএফএফ-এর। ১৩টি আইএসএল এবং শীর্ষ তিনটি আই লিগ ক্লাবদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যেখানে এপ্রিল ১৮ থেকে নকআউট ফর্ম্যাটে ম্যাচগুলো শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ফেডারেশন এখনও একটি উপযুক্ত উইন্ডো খুঁজে পায়নি, ফলে এটি শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
এছাড়া খরচের সমস্যা দেখিয়ে এআইএফএফ গতবার থেকে এই টুর্নামেন্টের বাড়তি খরচের দিকে নজর রাখছে। আইএসএল এবং আই লিগ-এর ঐতিহ্যগত সিজনের শেষে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়া ফেডারেশনের জন্য বড় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে টুর্নামেন্টটি নতুন করে সঞ্চালিত হওয়া নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে।
গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রত্যাখ্যান এবং উত্তরাখণ্ডের সম্ভাবনা
গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে, যা এআইএফএফ-কে একাধিক বিকল্পের দিকে নজর দিতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে উত্তরাখণ্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত এবং তারা ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস স্টেডিয়াম, হালদ্বানীকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও এআইএফএফ এখনও একেবারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি, তবে তারা চলমান আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত কি হবে?
এআইএফএফ-এর কম্পিটিশনস কমিটি সোমবার একটি বৈঠক করার কথা ছিল যাতে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সময়সূচী নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে এখনও কোনো নির্ধারিত সিদ্ধান্ত আসেনি এবং টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত না আসার কারণে, ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এআইএফএফ-এর জন্য এই পরিস্থিতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেহেতু তারা এতো বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিলেও নানা সমস্যা এবং বাধার মুখে পড়েছে।
এই মুহূর্তে এআইএফএফ-এর সামনে যে সমস্যা তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে তাদের এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে, তা শুধু সময়ই বলবে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন যে টুর্নামেন্টটি সময়মতো আয়োজন করা হবে এবং তারা নতুন করে উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল দেখতে পাবেন।