বাংলাদেশে ফিরলেই গ্রেফতার? হত্যা মামলায় নাম উঠল শাকিব আল হাসানের

বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদলের পর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ গত আওয়ামী লীগ জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী, নেতা, সাংসদদের বিরুদ্ধে পরপর হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। একাধিক প্রাক্তন…

বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদলের পর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ গত আওয়ামী লীগ জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী, নেতা, সাংসদদের বিরুদ্ধে পরপর হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী,নেতা ধৃত। হাসিনা ও আরও অনেকে পলাতক। কেউ আছেন আত্মগোপনে। এবার বিগত সরকারের সাংসদ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) বিরুদ্ধে দায়ের হল হত্যা মামলা।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন ও রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের সময় শাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। সেইদিন থেকে বারবার শাকিবকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সাংসদ শাকিবও তাঁর দলের অন্যান্য নেতাদের মত আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর হুকুম দিয়েছিল।

   

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ নিয়ম সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাস থেকে ছাত্র আন্দোলন চলছিল। অভিযোগ আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা গুলি চালিয়েছিল। বহু মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার নেয় আগস্ট মাসে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পোশাক শ্রমিক রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি চালায়। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান তিনি।

এই হত্যা মামলায় ২৮জন অভিযুক্তদের একজন শাকিব আল হাসান। এজাহারে লেখা তাঁর ঠিকানা দেখে বোঝা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শাকিব। এজাহারে তাঁকে প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তান সফরে শাকিব।২১ আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট ও করাচিতে ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। সরকার পতনের পর তিনিও আছেন আত্মগোপনে।

গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য শাকিব আল হাসানের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আরও এক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ি পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দুই প্রাক্তন সাংসদ ও ক্রিকেট তারকা চরম আতঙ্কিত।