যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরান থেকে সরছে এএফসির একাধিক ম্যাচ, বাদ কেন মোহনবাগান?

বর্তমানে যুদ্ধের‌ পরিস্থিতি পশ্চিম এশিয়ায়। যারফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুদ্ধের আবহে অশান্ত ইরান। এই পরিস্থিতিতে গত ২রা অক্টোবর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ (AFC Champions League)…

AFC Champions League

বর্তমানে যুদ্ধের‌ পরিস্থিতি পশ্চিম এশিয়ায়। যারফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুদ্ধের আবহে অশান্ত ইরান। এই পরিস্থিতিতে গত ২রা অক্টোবর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ (AFC Champions League) টায়ার টুয়ের ম্যাচ থাকলেও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রাক্টর এফসির বিপক্ষে দল পাঠায়নি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি উল্লেখ করে এএফসির কাছে চিঠি প্রদান করলেও আদতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং ম্যাচ না খেলার অভিযোগকে সামনে রেখে ভারতের এই ফুটবল ক্লাবকে টুর্নামেন্ট থেকে বের করার সিদ্ধান্ত নেয় এএফসি।

সেটা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। এই বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে আপামর বাগান জনতা। পরবর্তীতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এএফসির কমিটির কাছে আপিল করে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যদিও সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এই সংস্থার তরফে। এসবের মাঝেই উঠে এসেছে নয়া তথ্য। বর্তমানে ইরানের অশান্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এস্তেগলাল বনাম আল-নাসেরের ম্যাচ অন্যত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এশিয়ার এই ফুটবল সংস্থার তরফে।

   

তবে শুধুমাত্র এই ফুটবল ম্যাচ নয়। ট্র্যাক্টর এফসি বনাম রাভসান কুলোব এফসির ম্যাচ ও অন্য নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসতে শুরু করেছে মোহনবাগানের কথা। গোটা বিষয়টি উল্লেখ করেই ইরান না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেরিনার্সরা। তার প্রতিদান হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয় সবুজ-মেরুনকে। তাহলে কেন এমন এক পেশে সিদ্ধান্ত নিতে হল এএফসি কতৃপক্ষকে ? বর্তমানে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, এএফসির টুর্নামেন্টে ভারতীয় ফুটবল ক্লাব গুলির সমস্যার পড়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। এবারও যার প্রমাণ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে আদৌ কি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের ম্যাচ খেলতে পারবে মোহনবাগান। সেদিকেই নজর রয়েছে দেশের সকল ফুটবলপ্রেমীদের।