তন্ময়ের লড়াই বৃথা, শিরোপা দখল নিল হাওড়া

ইডেন গার্ডেন্সে শনিবারের জমজমাটি ফাইনাল ম্যাচে মুর্শিদাবাদ কিংসকে (Murshidabad Kings) ৯ রানে হারিয়ে পুরুষদের বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগের (Bengal Pro T20 League Final) দ্বিতীয় সিজনের…

Adamas Howrah Warriors crowned champions of mens Bengal Pro T20 League Season 2 beat Murshidabad Kings

ইডেন গার্ডেন্সে শনিবারের জমজমাটি ফাইনাল ম্যাচে মুর্শিদাবাদ কিংসকে (Murshidabad Kings) ৯ রানে হারিয়ে পুরুষদের বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগের (Bengal Pro T20 League Final) দ্বিতীয় সিজনের চ্যাম্পিয়ন হল হাওড়া ওয়ারিয়র্স (Adamas Howrah Warriors)। প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী এবং সংগঠিত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে গোটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছে তারা, আর ফাইনালেও তারই প্রমাণ মিলল।

প্রথমে ব্যাট করে হাওড়া ওয়ারিয়র্স তোলে ১৫০/৯। যদিও স্কোরটা অতটা বিশাল নয়, তবে ফাইনালের চাপ মাথায় রেখেই এই রান যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক ছিল। দলের হয়ে শাকির হাবিব গান্ধি ৩১, আদিত্য পুরোহিত ৩০ এবং অভিজ্ঞ অরিন্দম ঘোষ ২৬ রান করে ইনিংসকে শক্ত ভিত দেন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ কিংসের বোলারদের মধ্যে ঋষভ চৌধুরী ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন তিনি। তাছাড়া সাকশম চৌধুরী, তৌফিক উদ্দিন মন্ডল, বিকাশ সিং ও অনিকেত সিং প্রত্যেকে একটি করে উইকেট দখল করেন।

   

১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় মুর্শিদাবাদ কিংস। যদিও তন্ময় প্রামাণিক ৩৩ বলে ৪৮ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে এক সময় ম্যাচ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় ম্যাচ বের করে আনতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ১৪১ রানেই থেমে যায়।

হাওড়া ওয়ারিয়র্সের বোলিং আক্রমণ ছিল নিখুঁত ও ধারালো। কানিষ্ক সেঠ ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। সাকশম শর্মা ২টি উইকেট নেন ৩৬ রান দিয়ে। শ্রেয়ান চক্রবর্তী (১-২৫) ও রোহিত (১-১২) অসাধারণ লাইন ও লেংথে বল করে ব্যাটারদের চাপে রাখেন।

Advertisements

এই জয়ে দ্বিতীয় মরসুমে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জুড়ে নিল হাওড়া ওয়ারিয়র্স। তাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে স্পষ্ট ছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া, একাগ্রতা ও ম্যাচ জেতার মানসিকতা। দলের ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

এই জয় শুধু একটি ট্রফি অর্জন নয়, বরং রাজ্যের ক্রিকেটে হাওড়ার প্রতিনিধিত্বকে আরও মজবুত করল। বাংলা ক্রিকেটপ্রেমীরা এমন একটা ফাইনাল উপহার পেল যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহুদিন। এখন দেখার, পরবর্তী মরসুমে অন্যান্য দল কীভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে হাওড়ার এই দাপটকে চ্যালেঞ্জ জানায়।