ফেডারেশনকে বিশেষ চিঠি আইএসএলের দলগুলির, সামিল হল না দুই প্রধান

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট তথা আইএসএল (ISL) আয়োজন নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। মূলত মাস্টার রাইটস এগ্ৰিমেন্ট তথা…

AIFF President Kalyan Chaubey confirms Super Cup to be held on September before ISL or Other League

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট তথা আইএসএল (ISL) আয়োজন নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। মূলত মাস্টার রাইটস এগ্ৰিমেন্ট তথা এমআরএ নবীকরণ নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজনকারী সংস্থা তথা এফএসডিএল এর সঙ্গে জটিলতা দেখা দেওয়ার ফলে গত কয়েক মাস ধরে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইএসএলের আয়োজন। সেই সমস্যা কাটিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার উদ্দেশ্য নিয়েই গত ৭ই আগস্ট রাজধানীর বুকে দল গুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে এবার অনেকটা এগিয়েই শুরু হবে সুপার কাপ। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই আয়োজন করা হতে পারে এই কাপ টুর্নামেন্ট। এমনকি প্রথম ডিভিশন লিগ‌ ও আয়োজনের কথা উঠে এসেছিল তাঁর মুখ থেকে। যারফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এফএসডিএল এর সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। নয়া চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয় এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা হলেও উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে সকলের।

   

তবে সুপার কাপে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ক্লাব গুলির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রথম ডিভিশন লিগ আয়োজন নিশ্চিত করলেই সেই কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ফুটবল দল গুলি। সেক্ষেত্রে এআইএফএফ এর মৌখিক আশ্বাসের পরেই এই টুর্নামেন্টে দল নামতে রাজি হয় ক্লাব গুলি। উল্লেখ্য, আইএসএলের অনিশ্চয়তার আঁচ পেয়েই গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওডিশা এফসি থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়িন এফসির মতো দল গুলি। যা নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছে দেশের ফুটবল সার্কিটে। এসবের মাঝেই এবার উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য।

Advertisements

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মোট ১৩টি আইএসএল ক্লাবের মধ্যে ১১টি দল সম্মিলিতভাবে একটি চিঠি প্রেরণ করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। যেখানে বলা হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার বিষয়টি। এমনকি আরও বলা হয়েছে যে এআইএফএফ যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ক্লাবগুলির তরফে স্বাধীনভাবে বিচারিক আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকবে না। যদিও এই দল গুলির মধ্যে সামিল হয়নি কলকাতা ময়দানের অন্যতম দুই প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।