UY Scuti: এটাই ব্রহ্মান্ডের সবচেয়ে বড় নক্ষত্র, বয়স জানলে চমকাবেন

মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় নক্ষত্রটির নাম ইউওয়াই স্কুটি (UY Scuti)। লাল রঙের বিশাল এই নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৭০৮ গুণ চওড়া। এর…

A breathtaking image of UY Scuti

মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় নক্ষত্রটির নাম ইউওয়াই স্কুটি (UY Scuti)। লাল রঙের বিশাল এই নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৭০৮ গুণ চওড়া। এর ব্যাসার্ধ ১২০ কোটি কিলোমিটার (৭৩ কোটি ৮০ লাখ মাইল)। তবে বয়সে সে বড়ই নবীন। বিজ্ঞানীদের মতে ১ থেকে ২ কোটির মধ্যে।

ইউওয়াই স্কুটির অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরের স্কুটাম নক্ষত্র মণ্ডলে। এই নক্ষত্র মণ্ডলটি মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা নামের ছায়াপথের কেন্দ্রের দিকে অবস্থিত।

   

আকারে অনেক বড় হওয়ার পরও ইউওয়াই স্কুটি নক্ষত্রটির তাপমাত্রা আমাদের সূর্যের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। এর তাপমাত্রা ৩ হাজার ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১ হাজার ৭০০ ফারেনহাইট)। তাপমাত্রা কম হওয়ার একটা কারণ হলো, নক্ষত্রটি ইতিমধ্যে এর হাইড্রোজেন জ্বালানির বেশির ভাগটাই ফুরিয়ে ফেলেছে। এই হাইড্রোজেন জ্বালানিই উষ্ণতা ও আলো তৈরি করে। তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার এটি লালচে আভা ছড়ায়।

ইউওয়াই স্কুটির বয়সও আশ্চর্য রকমের কম। এর বয়স মাত্র ১ কোটি থেকে ২ কোটি বছর। আমাদের সূর্যের বয়স ৪৬০ কোটি বছর। অবশ্য, ইউওয়াইয়ের জ্বালানি যেভাবে দ্রুত নিঃশেষিত হচ্ছে, তাতে কয়েক লাখ বছর পর এর জীবনচক্র ফুরিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জীবনচক্র ফুরিয়ে যাওয়ার পর ইউওয়াই স্কুটি নক্ষত্রটির কী হবে, তা নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নক্ষত্রটি একটি হাইপারনোভাতে (এমন একটি শক ওয়েভ তৈরি হওয়া যার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন তারার সৃষ্টি হয়) বিস্ফোরিত হবে। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন, ইউওয়াই স্কুটি নিজে নিজেই ভেঙে পড়বে এবং অপেক্ষাকৃত একটি উষ্ণ নক্ষত্র গড়ে উঠবে।

প্রসঙ্গত বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে এমন এমন কিছু নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলোর আকার সূর্যের চেয়ে হাজার গুণ বড়। বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের তালিকা অনুযায়ী ১০ বড় নক্ষত্র হলো—ইউওয়াই স্কুটি, ডব্লিউওএইচ জি ৬৪, ডব্লিউওএইচ ৫১৭০, আরএসজিসি১-এফ০১, এইচডি ২৬৯৫৫১, ভিওয়াই ক্যানিস ম্যাজোরিস, এইচডি ১২৪৬৩, সিএম ভেলোরাম, এএইচ স্করপি এবং এইচভি ৮৮৮। সব কটির আকার সূর্যের চেয়ে বড়।

বড় নক্ষত্রের তালিকায় দ্বিতীয় ‘ডব্লিউওএইচ জি৬৪’ সূর্যের চেয়ে আকারে ১ হাজার ৫৪০ গুণ বড়। ধারণা করা হয়, নক্ষত্রটি অত্যন্ত ধূলিময়। এটি ক্ষুদ্র বস্তুকণার পুরু স্তরে আবৃত থাকে। ক্ষুদ্র বস্তুকণার এই স্তরের ব্যাস প্রায় এক আলোকবর্ষ পর্যন্ত প্রসারিত।

সূর্যের তাপমাত্রার সঙ্গে তুলনা করলে ডব্লিউওএইচ জি৬৪ অপেক্ষাকৃত শীতল। এর তাপমাত্রা ৩ হাজার ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫ হাজার ৬০০ ফারেনহাইট)। অন্যদিকে সূর্যের তাপমাত্রা ৫ হাজার ২২৬ দশমিক ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯ হাজার ৩৮০ দশমিক ৩৩ ফারেনহাইট)। তালিকায় তৃতীয় ‘ডব্লিউওএইচ ৫১৭০’। লাল রঙের এই নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৪৬১ গুণ বড়।