পৃথিবীর ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই স্যাটেলাইট

ISRO-NASA Mission: ইসরো এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পৌঁছেছে। মহাকাশে, এই উপগ্রহটি তার বিশাল রাডার অ্যান্টেনা খুলেছে যা পৃথিবীর ছবি…

NISAR satellite

ISRO-NASA Mission: ইসরো এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পৌঁছেছে। মহাকাশে, এই উপগ্রহটি তার বিশাল রাডার অ্যান্টেনা খুলেছে যা পৃথিবীর ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, পরবর্তী বর্ষাকাল পর্যন্ত এই উপগ্রহ ভারতের জন্য অনেক সাহায্য করবে। এটি পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস, হিমবাহের হ্রদ ফেটে যাওয়া এবং মেঘ ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলির পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করবে। এই সমস্ত ঘটনা সম্প্রতি দেশের মানুষের অনেক ক্ষতি করেছে।

কখন এবং কোথা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল?
নাসা এবং ইসরো যৌথভাবে নির্মিত এই উপগ্রহটি ৩০ জুলাই সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি ভারতের GSLV-F16 রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এই রকেটে ভারতে তৈরি একটি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন রয়েছে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ভারতকে কখনও দেওয়া হয়নি কিন্তু এখন এটি ভারতের মহাকাশ শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

   

এর নির্মাণ ব্যয় কত ছিল?
নিসার স্যাটেলাইটের ওজন ২.৮ টনেরও বেশি এবং এটি তৈরিতে ১.৩ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০,৮০০ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল পৃথিবীর পৃষ্ঠের ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনগুলিও ট্র্যাক করা। এই উপগ্রহটি এমনকি ১ ইঞ্চির পরিবর্তনও ধারণ করতে পারে। নাসার কর্মকর্তা কারেন সেন্ট জার্মেইন বলেন, NISAR-এর অ্যান্টেনার সঠিক কার্যকারিতা এর সাফল্যের দিকে একটি বড় অর্জন।

Advertisements

অ্যান্টেনা কীভাবে তৈরি হয়?
লঞ্চের ১৭ দিন পর, ১৫ আগস্ট, NISAR-এর ১২-মিটার রাডার অ্যান্টেনা মহাকাশে খোলা হয়। এই অ্যান্টেনা বা ছাতাটি সোনার ধাতুপট্টাবৃত তারের জাল দিয়ে তৈরি এবং এটি 9-মিটার বুম দ্বারা সমর্থিত। এই ড্রাম-আকৃতির প্রতিফলকটি NASA মিশনে ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় প্রতিফলক। এই রাডারগুলিতে, একটি L ব্যান্ড নাসা এবং S-ব্যান্ড ISRO দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, এই উপগ্রহটি মেঘ, গাছপালা এবং বৃষ্টির মধ্যেও পৃথিবীর স্পষ্ট এবং বিস্তারিত ছবি তুলতে পারে।