বিজ্ঞানীরা সমুদ্রে একটি অদ্ভুত ঘটনা লক্ষ্য করেছেন। হঠাৎ একটি কালো রঙের অ্যাঙ্গলার মাছকে জলের উপরে ভাসতে দেখেন তারা। এই মাছের নাম ব্ল্যাক সি ডেভিল। ব্ল্যাক সি-ডেভিল হল একটি ভয়ঙ্কর চেহারার সামুদ্রিক মাছ যা সমুদ্রের তলদেশের কাছে হাজার হাজার ফুট গভীরতায় বাস করে। এমতাবস্থায় জলপৃষ্ঠের কাছে এই মাছটিকে দেখা খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকার উপকূলে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের কাছে জলের পৃষ্ঠে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই ভয়ঙ্কর মাছটিকে দেখা গিয়েছিল। এর চোয়াল খুব ধারালো দাঁতে পূর্ণ। এটি বেশ বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাছটি সাঁতার কাটার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এই আবিষ্কারটি করেছেন স্প্যানিশ কনড্রিক টেনেরিফ এবং সামুদ্রিক জীবন ফটোগ্রাফার ডেভিড জারা বোগুনা। আসলে এই ব্যক্তিরা সমুদ্রের হাঙর নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সেই সময় এই বিপজ্জনক কালো রঙের এই মাছটি তাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে যাতে এই মাছটিকে টেনেরিফের উপকূলে সমুদ্রের উজ্জ্বল জলে সাঁতার কাটতে দেখা যায়।
View this post on Instagram
বলা হচ্ছে যে এই প্রথমবারের মতো এই কালো দৈত্য, যা মেলানোসেটাস জনসোনি নামেও পরিচিত, দিনের আলোতে জলের পৃষ্ঠের কাছে এইভাবে ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সমুদ্রের গভীরে বসবাসকারী এই ভয়ঙ্কর মাছটি কেন ভূপৃষ্ঠের কাছে সাঁতার কাটছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু দলটি অনুমান করে যে এটি অসুস্থ হতে পারে, অথবা এটি একটি শিকারী থেকে পালানোর চেষ্টায় জলের উপরে উঠে আসতে পারে।
নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, ক্যামেরায় এর ফুটেজ রেকর্ড হওয়ার পরপরই এটি মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এই মাছের এমন আভাস পাওয়া একটি বড় প্রাপ্তি কারণ এই ভয়ঙ্কর মাছ সাধারণত সমুদ্রের জলের পৃষ্ঠের 650 থেকে 6500 ফুট গভীরে সাঁতার কাটে। দিনের আলোতে মাছের এই উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ রেকর্ডে সাবমেরিন মিশনের সময় শুধুমাত্র লার্ভা, মৃত প্রাপ্তবয়স্ক বা নমুনা দেখা গেছে।