NASA Rover sent 360 view of Mars: মঙ্গল গ্রহ অন্বেষণ বিজ্ঞানীদের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী স্বপ্নগুলির মধ্যে একটি। বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন যে মঙ্গলে কখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা? ভবিষ্যতে কি সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা আছে? এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে নাসার পার্সিভারেন্স রোভার, যা ২০২১ সালে মঙ্গলে অবতরণ করেছিল এবং সেখান থেকে ক্রমাগত নতুন আপডেট/গবেষণা পাঠাচ্ছে। এই রোভারের মাধ্যমে পাঠানো সর্বশেষ তথ্য মঙ্গল গ্রহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রহস্য উন্মোচিত করেছে।
‘পার্সিভারেন্স’, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রোভারগুলির মধ্যে একটি, গাড়ির মতো চলছে এবং বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য অর্জন করছে। সম্প্রতি, এই রোভারটি কিছু আশ্চর্যজনক ছবি পাঠিয়েছে।. এই ছবিগুলি অনন্য কারণ এগুলি মঙ্গল গ্রহের তোলা সবচেয়ে স্পষ্ট ছবিগুলির মধ্যে একটি এবং একটি বিশদ প্যানোরামা (সর্বব্যাপী দৃশ্য) ধারণ করে।
রোভার মঙ্গল গ্রহের ৯৬টি ছবি পাঠিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোভারে স্থাপিত ক্যামেরাটি ৯৬টি পৃথক ছবি তুলেছে, যেগুলো পরবর্তীতে একত্রিত করে ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালে পাঠানো এই রোভারটি তার অভিযানের ১৫১৬ তম দিনে এই ছবিগুলি তুলেছিল। ছবিগুলিতে দেখা যায় যে রোভার যখন ছবিগুলি তুলেছিল, তখন সেখানকার আকাশ একেবারে পরিষ্কার এবং ধুলোমুক্ত ছিল। যার কারণে এগুলিকে এখন পর্যন্ত মঙ্গলের সবচেয়ে পরিষ্কার ছবিও বলা হচ্ছে।
মঙ্গল গ্রহের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্যে কী আছে?
রোভারের পাঠানো ৯৬টি ছবি একত্রিত করার পর, ৩৬০ ডিগ্রিতে অনেক কিছুই স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। উপরের অংশে যেন একটা বড় ‘ভাসমান পাথর’ পড়ে আছে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই পাথরটি অন্য কোথাও থেকে এসেছিল এবং বালিতে পরিণত হওয়ার আগে এখানে আটকে গিয়েছিল।
- রোভার থেকে মাত্র ৪.৪ মিটার দূরে একটি অর্ধচন্দ্রাকার গাঢ় বালির ঢেউ (Sand Ripple) দেখা যাচ্ছে।
- একটি উজ্জ্বল সাদা দাগও দেখা যাচ্ছে, এটি সেই জায়গা যেখানে রোভারটি তার ড্রিল দিয়ে পাথরটি স্ক্র্যাপ করেছিল।
- এই দৃশ্যে দুটি ভিন্ন ধরণের ভূমি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। কাছের শিলাগুলি হালকা এবং জলপাইতে সমৃদ্ধ।
- দূরবর্তী শিলাগুলি গাঢ় এবং কাদামাটি ধারণ করে, যা অনেক পুরানো বলে মনে হয়।
- ছবিতে রোভারের চাকার চিহ্নও দৃশ্যমান।
- এই ছবিটি কেবল সুন্দরই নয়, অত্যন্ত মূল্যবানও।
- এটি মঙ্গল গ্রহের পুরনো ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস বুঝতে এবং এর পৃষ্ঠ গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে সাহায্য করছে।