নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর: চলতি বছরে আরও ৭টি মিশন লঞ্চের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। এছাড়াও ২০২৭ সালে মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে ভারত বলে জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন (ISRO Chairman V Narayanan)। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরো প্রধান জানিয়েছেন যে ইসরো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিল্পের সক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধির একটি পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানান যে চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে আরও ৭টি মিশন মঞ্চের লক্ষ্য নিয়েছে সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে একটি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট এবং একাধিক PSLV এবং GSLV মিশন। সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি PSLV-র প্রথম সফল লঞ্চে মাইলফলক ছোঁবে ভারত।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই সরকার চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) মিশনের অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের সবথেকে কঠিন চন্দ্র অভিযান হবে এটি। এই অভিযানের অধীনে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনবে এই মিশন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা চন্দ্রযান-৪ এর জন্য ২০২৮-এর লক্ষ্য রেখেছি।“ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন হবে LUPEX। লুপেক্স হল জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) এর সঙ্গে যৌথ চন্দ্র মেরু অনুসন্ধান কর্মসূচি।
মিশনের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে আগামী তিন বছরে ইসরো তার বার্ষিক মহাকাশযান উৎপাদন তিনগুণ করার জন্য একই সাথে কাজ করছে। এতদিন চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে এসেছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন। এবার চন্দ্রযান-৪ এর মাধ্যমে এই মিশনে নাম লেখাবে ভারত, চাঁদ থেকে সংগ্রহ করে নমুনা নিয়ে আসবে ভারত। অপর দিকে, লুপেক্স মিসন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জলের বরফ নিয়ে অধ্যয়ন করবে।
ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে ২০৩৫ এর মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশনে কাজ শুরু করে দিয়েছে ইসরো। তিনি জানান, “পাঁচটি মডিউলের মধ্যে প্রথমটি ২০২৮ সালের মধ্যে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।” এই প্রচেষ্টা ভারতকে তৃতীয় প্রধান দেশ হিসেবে মহাকাশ স্টেশন পরিচালনায় পরিণত করবে, কারণ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস) তার সমাপ্তির কাছাকাছি এবং চিনের তিয়ানগং সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে।
ভারতের প্রথম মানব-মহাকাশ অভিযান, গগনযান সম্পর্কে নারায়ণন স্পষ্ট করে বলেন যে কেবল মানববিহীন অভিযানের সময়সীমা পরিবর্তিত হয়েছে। “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই: মানববিহীন অভিযানের লক্ষ্য ছিল ২০২৫। মানববিহীন অভিযানের পরিকল্পনা সর্বদা ২০২৭ সালের জন্য করা হয়েছিল এবং আমরা সেই তারিখ ধরেই চলছি,” তিনি বলেন।
নারায়ণন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা ভারতীয় নভোচারীদের চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠানোর এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে।



